নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাগরপথে লিবিয়া থেকে ইটালি যাওয়ার পথে ট্রলার ডুবিতে মৃত্যু হয়েছে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার ৬জন যু্বকের। এছাড়া এ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরো বহু সিলেটীসহ বাংলাদেশী যুবক।
পরিচয় পাওয়া ছয় জনের মধ্যে চার জনেরই বাড়ি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায়। তারা হচ্ছেন- উপজেলার সেনেরবাজার কটালপুর এলাকার মুহিদপুর গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে আহমদ হোসেন (২৪), একই গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে আব্দুল আজিজ (২৫), সিরাজ মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া (২৪) ও দিনপুর গ্রামের আফজাল (২৫)।
এছাড়া সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদের ছোট ভাই কুলাউড়ার ভুকশিমাইলের আহসান হাবিব শামীম এবং তার শ্যালক গোলাপগঞ্জের শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের কদুপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছোট ছেলে কামরান আহমদ মারুফ।
তাদের স্বজনরা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এই ট্রলারে মারুফের বড় ভাই মাছুম আহমদও (২৫) ছিলেন। কিন্তু এ সময় জেলেরা ১৬ জনকে উদ্ধার করেছে। এই উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে মাছুম আহমদও রয়েছে। তিনি ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।
নৌকাডুবিতে বেঁচে যাওয়া লোকজন তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্টকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (৯ মে) গভীর রাতে লিবিয়ার উপকূল থেকে ৭৫ জন অভিবাসী একটি বড় নৌকায় করে ইটালির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। গভীর সাগরে তাদের বড় নৌকাটি থেকে অপেক্ষাকৃত ছোটো একটি নৌকায় তোলা হলে ছুক্ষণের মধ্যে সেটি ডুবে যায়।
তিউনিসিয়ার জেলেরা ১৬ জনকে উদ্ধার করে শনিবার সকালে জারযিজ শহরের তীরে নিয়ে আসে। উদ্ধার হওয়া অভিবাসীরা জানায়, ঠাণ্ডা সাগরের পানিতে তারা প্রায় আট ঘণ্টা ভেসে ছিল। উদ্ধার হওয়া ১৬ জনের ১৪ জনই বাংলাদেশি বলে জানা গেছে।