খ ম জুলফিকার, মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ইকোপার্ক থেকে ছুটে আসা বন্য শুকরের তান্ডবে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর, গোয়ালাবাড়ী এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী আনারস, লেবু, কাঠাল, শাকসবজিসহ কয়েকশ কৃষকের শতাধিক একর বাগান। এসব বাগান রাতের আঁধারে দলবেঁধে বন্য শুকর তান্ডব চালিয়ে ধ্বংস করে দিচ্ছে বলে জানান বাগান মালিকরা । এনিয়ে দৈনিক ইনকিলাব, ঢাকা ট্রিবিউন, দৈনিক মানবজমিন, দৈনিক বাংলা৭১সহ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। তাই ক্ষুব্ধ ক্ষতিগ্রস্ত বাগান মালিকগন জেলা প্রশাসকসহ বন বিভাগের কাছে ক্ষতিপূরণ ও বাগান রক্ষায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ইকোপার্ক অংশে দেয়াল নির্মানের দাবি জানিয়ে অবশেষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
১৬ মে (বৃহস্পতিবার) বিকেলের দিকে মৌলভীবাজার শহরের প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত আনারস ও লেবু বাগান মালিকগনের পক্ষ থেকে বাগান রক্ষা ও প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ বাগান মালিকরা।
স্থানীয় মেম্বার ওয়াছির মিয়ার সভাপতিত্বে ও বাগান মালিক এনামুল হক এনামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাগান মালিক ও জগন্নাথপুরের বিশিষ্ট মুরব্বি জয়নাল আবেদীন কাজল, সাবেক মেম্বার ইমরান মিয়া, সাবেক মেম্বার আব্দুস সোবহান আলী, হালিম মিয়া, মোঃ রহিম মিয়া, সালাত মিয়া, সেলিম মিয়া, বাবুল মিয়া, পাবলু মিয়া, শাহ হেলাল সাহেল, মনজুর মিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জগন্নাথপুর গ্রামের কয়েকশত বাগানে বর্ষিজোড়া ইকোপার্কের বন্য শুকরের ব্যাপক তান্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। প্রশাসনের বিভিন্ন স্থরে অভিযোগ দিয়েও কোন কাজ কিংবা আশ্বাস মিলেনি । এসব আনারস, কাঠাল আর লেবু বাগানের মালিকরা লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেও বন্য শুকরের কারনে সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সাবেক মেম্বার ইমরান আহমদ বলেন পরিকল্পিতভাবে বন বিভাগ অন্য বন থেকে তুলে নিয়ে বাগান এলাকায় বন্য শুকর ছেড়ে দিয়ে ধ্বংসের মুখে দাঁড় করিয়েছে আমাদের কষ্টার্জিত অর্থের ফসল এসব বাগান। তিনি সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ চেয়ে বাগান মালিক কৃষকদের সহায়তা ও পাশে দাঁড়াতে জোর দাবি জানান।