প্রথম মহিলা জেলা শিক্ষা অফিসার নুর রওশন চৌধুরী আর নেই, আগামীকাল রোববার বাদ জোহর জানাযা

ফাহিমা খানম চৌধুরী মনিঃ

সিলেট নগরীর কুয়ারপাড় নিবাসী প্রফেসর মরহুম আব্দুল মান্নান চৌধুরীর সহধর্মিনী, ডিআইজি হেডকোয়ার্টার তৌফিক মাহবুব চৌধুরীর মাতা নুর রওশন চৌধুরী (নেহার)। গতকাল ১৮ই মে শনিবার  ভোর ৪.৪৫ঘটিকার সময় সিলেট নগরীর একটি প্রাইভেট হাসাপাতালে চিকিৎসাধীর অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নলিল্লাহি ….. রাজিউন)।

  • আগামীকাল রোববার বাদ জোহর হযরত শাহজালাল (রঃ) দরগাহ মসজিদ প্রাঙ্গনে তাঁর জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি ১ ছেলে ও ৩ মেয়ে  নাতি নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মহিয়সী নারী নুর রওশন চৌধুরী রত্নাগর্ভা মা ছিলেন, সুনাম গঞ্জ গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা এবং সিলেট সরকারী অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। তিনি পরবর্তীতে সিলেট জেলা শিক্ষা অফিসারের দায়িত্ব পালরত অবস্থায় অবসর গ্রহণ করেন। তিনি  পাকিস্তান আমলে ডাবল এমএ এবং বিএড ডিগ্রী  অর্জন করেন, তিনি একজন লেখিকাও ছিলেন।

উল্লেখ্য তাঁর পিতা গোলাপগঞ্জ ফুলবাড়ি নিবাসী, মরহুম আব্দুজ জহির চৌধুরী (কিনু মিয়া পেশকার), তিনি মরমী কবি হাছন রাজার ছেলে মরহুম দেওয়ান একলিমুর রাজার মেয়ে হেলাল বদন চৌধুরীর ২য় কণ্যা  এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সাবেক মন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজী ছিলেন নুর রওশন চৌধুরীর ভগ্নিপতি। তাঁর ১ মাত্র ছেলে, ডিআইজি হেডকোয়ার্টার তৌফিক মাহবুব চৌধুরী, ৩ মেয়ে ১ম মেয়ে তাহেরা নুসরাত চৌধুরী স্বামী মুফতি  সিরাজ উদ্দিন মোহাম্মদ জাহেদ দরগা মুফতি বাড়ির বাসিন্দা এবং আন্তর্জাতিক রুটের জাহাজের ক্যাপ্টেইন ২য় মেয়ে ডা. তৈয়বা মোশাররত চৌধুরী, একজন প্রতিতযশা চিকিৎসক এবং তাঁর স্বামী এডিশনাল আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন (স্বরণ) ৩য় মেয়ে তাহজিবা আশরাত চৌধুরী (ডালিয়া) স্বামী রনক চৌধুরী দুজনই যুক্তরাজ্য প্রবাসী।

শেয়ার করুন