নিজস্ব প্রতিনিধি :
- হবিগঞ্জ পৌরসভার উপ-নির্বাচন শহর জুড়ে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র ১ ডজন প্রার্থীর নাম শুনা যাচ্ছে। নির্বাচন ঘিরে দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন তারা। আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র প্রায় পৌণে ১ ডজন প্রার্থী এলাকায় প্রচার প্রচারণা করলেও এখনও দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয় রয়েছে বিএনপি নেতাদের মধ্যে। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও দলীয় একক প্রার্থী প্রদান করবে নাকি উন্মুক্তভাবে নির্বাচন করবে এ নিয়ে আছে কানাঘুষা।
নির্বাচনে আওয়ামীলীগ-বিএন.প’র সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় আছেন- জেলা বিএনপি’র আহবায়ক ও পৌর কাউন্সিলর মোহাম্মদ আবুল হাসিম, সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা বি.এন.পি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জি.কে গউছ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মর্তুজ আলী, জেলা যুবলীগ সভাপতি ও গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতাউর রহমান সেলিম, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান, জেলা স্বেচ্ছসেবক লীগ সভাপতি সৈয়দ কামরুল হাসান এবং আওয়ামী লীগ নেতা গাজী মো. পারভেজ হাসান। এছাড়াও প্রার্থী হিসেবে জেলা যুবদল সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মিয়া মো. ইলিয়াছের নামও শোনা যাচ্ছে।
এদের সকলেই নিজ-নিজ দলের মনোনয়ন পেতে আশাবাদের কথা জানিয়েছেন। গত কয়েক মাস ধরেই চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার-প্রচারনা। গত সোমবার তফসীল ঘোষণার পর থেকে ওই প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পেতে সম্ভাব্য সকল স্থানে শুরু করেছেন দৌঁড়ঝাপ।
জেলা বিএনপি’র আহবায়ক ও পৌর কাউন্সিলর মোহাম্মদ আবুল হাসিম বলেন, ‘আমি ৯৯ ভাগ আশাবাদী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এ ক্ষেত্রে দল আমাকে সুযোগ দিলে আমি অবশ্যই নির্বাচন করব। তবে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করার ইচ্ছে আমার নেই’।
জেলা বি.এন.পি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও টানা ৩ বার নির্বাচিত সাবেক পৌর মেয়র জি.কে গউছ বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্তে মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এবারও দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে এবং আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি অবশ্যই নির্বাচন করব’।
পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু বলেন, ‘দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে আমি শতভাগ আশাবাদী’। মনোনয়ন না পেলে কি করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে মন্তব্য করার সময় এখনো আসেনি। আগে-তো মনোনয়ন চাইতে হবে। দেখা যাক কি হয়’।
মনোনয়ন না পেলে নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেন কি না জানতে চাইলে পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘নির্বাচনের পর থেকে সুখে-দুখে জনগনের পাশে আছি। আমি আশা করি, দল আমাকে মূল্যায়ন করবে। জনগন চাইলে আমি অবশ্যই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করব’।
জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি এডভোকেট মো. আবু জাহির বলেন, ‘দলীয় সভানেত্রীর নেতৃত্বে গঠিত স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডই প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন’। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহন করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহনের সিদ্ধান্ত বিদ্যমান’।
উল্লেখ্য, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৭ মে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন, প্রার্থীতা প্রত্যাহার ৯ জুন, ১০ জুন প্রতীক বরাদ্ধ এবং ভোটগ্রহন ২৪ জুন।
হবিগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, হবিগঞ্জ পৌরসভার ভোট যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় সে লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।