সেই নারী আইনজীবির আরেকটি  অপ্প স্মার্ট  মোবাইল ফোন শ্রীমঙ্গল থেকে  উদ্ধার 

 সাইফুল ইসলাম.
বড়লেখায় খুন হওয়া নারী আইনজীবী আবিদা সুলতানার ব্যক্তিগত আরেকটি স্মার্ট মোবাইল ফোন  উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২৯ মে বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে  শ্রীমঙ্গল  থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস ছালেক বলেন, ‘আমরা দুদিন ধরে যখন বরুণা এলাকায় অভিযান চালাচ্ছিলাম, তখন মাদ্রাসার মসজিদের ইমামের  গাড়িচালক আমাদের কাছে মুঠোফোন কেনার বিষয়টি জানায়। তার দেওয়া তথ্য আমরা যাচাই করে নিশ্চিত হই, এটা আইনজীবী আবিদার মুঠোফোন। তানভীর স্মার্টফোনটি এক হাজার টাকায় চালকের কাছে বিক্রি করেছিলেন। ওই মসজিদের ইমাম থানায় খবর দিলে  থানার উপ-পরিদর্শক ফজলে রাব্বি ফোনটি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
পুলিশ ধারণা, তথ্য গোপন ও আলামত না পাওয়ার জন্য হত্যার পর আবিদা সুলতানার   মোবাইল ফোন হত্যাকারী তানভীর নিয়ে আসে। তার  মোবাইল ফোন  কললিষ্ট থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে পুলিশ আশাবাদী।
গত সোমবার ২৭ মে দুপুর দেড়টায়  ছদ্মবেশী পুলিশ সদস্যরা শ্রীমঙ্গল উপজেলার বরুনা মাদ্রাসার এলাকা থেকে মসজিদের ইমাম তানভীর আহমদ  গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত.পুলিশ, নিহতের পরিবার, মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের তিন মেয়ে। তার স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি দ্বিতীয় মেয়ের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজারে থাকেন। মেয়েদের মধ্যে আবিদা সুলতানা সবার বড়। তিনি মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী। আবিদার স্বামী মো. শরিফুল ইসলাম বসুনিয়া একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি স্বামীর সঙ্গে মৌলভীবাজার শহরে বসবাস করতেন। আবিদা ছুটির দিনে বাবার বাড়ি দেখাশোনা করতে সেখানে যেতেন।
গত শনিবার আবিদা সুলতানা বোনের বাড়ি বিয়ানীবাজার ছিলেন। পরদিন গত রবিবার সকাল  সাড়ে ৮টায় জরুরি প্রয়োজনে তিনি বাবার বাড়িতে আসেন। বাবার বাড়িতে আসার পর বিকেল ৫ টা থেকে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর আবিদা সুলতানার স্বামী ও বোনরা তাকে খোঁজতে বাবার বাড়ি মাধবগুল গ্রামে আসেন। বাড়িতে এসে তারা ঘরের একটি কক্ষ বন্ধ দেখতে পান। চার কক্ষবিশিষ্ট বাসার দুই কক্ষে আবিদা সুলতানা ও তার বোনরা বেড়াতে আসলে থাকেন।
বাকি দুটোতে ভাড়া থাকতেন তানভীর আলমের পরিবার। আবিদার দূর সম্পর্কের আত্মীয় তানভীর। এসময় ঘরে তানভীর আলমের পরিবারের কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তানভীরের পরিবার ঘটনাস্থলের পাশেই তাদের এক আত্মীয় বাড়িতে ছিলেন।
পরে তাদের কাছ থেকে চাবি এনে ওইদিন (রবিবার) রাতে  পুলিশ ঘরের দরজা খুলে দেখে আবিদা সুলতানার মৃতদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে।
পুলিশ ওইদিনই তানভির আলমের স্ত্রী ও মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। ঘটনার পর তানভীর  আহমদ ও তার ভাই আফসার আলমও পালিয়ে যান।
শেয়ার করুন