নিজস্ব প্রতিবেদক, গোয়াইনঘাট :: সিলেটের গোয়াইনঘাট থানায় পুলিশ কোয়ার্টারের মধ্যে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন সুদীপ বড়ুয়া (৪৫) নামের এক সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই)। আজ রবিবার বেলা আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
গোয়াইনঘাট থানা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তবে থানার ওসি আব্দুল জলিল জানিয়েছেন, তারা এখনও নিশ্চিত নয়, এটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু।
জানা গেছে, সুদীপ বড়ুয়ার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার সোনাইচড়িতে। প্রায় ২৮ বছর ধরে পুলিশে চাকরি করছেন। চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি গোয়াইনঘাট থানায় যোগদান করেন।
সুদীপ বড়ুয়ার এক ছেলে নৌবাহিনীর স্কুলে এবং মেয়ে মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করছে।
‘থানায় মানসিক চাপে বিপর্যস্ত হয়ে’ তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন সুদীপের মেয়ে শতাব্দি বড়ুয়া।
তিনি বলেন, ‘বাবা প্রায়ই ফোন করে বলতেন, গোয়াইনঘাট থানার ওসি দুর্ব্যবহার করেন। দিনরাত চাপের মধ্যে রাখেন। সর্বশেষ গতকালও বাবার সাথে কথা হয়েছে, তিনি তখনও বলেছেন, এ থানায় তিনি আর থাকতে চান না।’
এদিকে, এসআই সুদীপের আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সিলেটের পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পরে সাংবাদিকদের কাছে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম বলেন, ‘সুদীপের আত্মহত্যার বিষয়ে তার মেয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা তার নিজস্ব। তারা যদি আইনি আশ্রয় গ্রহণ করেন, তবে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘সুদীপের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হবে।’
প্রসঙ্গত.. ২০১৪ সালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানায় কর্মরত থাকাবস্থায় ওসি জলিল নিজেই নানা অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলেন। এমনকি সে ইয়াবা ব্যবসার সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তাছড়া বিভিন্ন হোটেল ও পান দোকানে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। যা পুলিশের উচ্চ মহল অবগত আছেন। ইতিমধ্যে তাকে নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি একদিনে শ্রীমঙ্গল থানার ১০ জন এস আই ও সহকারী এসআইয়ের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরী করে নিজেকে ওসি হিসেবে আত্নস্বীকৃতী দিয়েছেন।