- মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কয়েকদিনের উতপ্ত তাপমাত্রা ও প্রচন্ড গরমে দূর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। টানা ভ্যাপসা গরম আর অনাবৃষ্টির কারণে মানুষের প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত।
গরম বাতাস শরীরে লাগছে আগুনের হুলকার মতো। ঘরে-বাইরে কোথাও যেন স্বস্তির ছোঁয়া নেই। শিশু ছাড়াও গরমে সবচেয়ে বেশি কাবু হয়ে পড়ছেন বৃদ্ধরা। নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশু ও বৃদ্ধরা।
জানা যায়, সম্প্রতি শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে সর্দি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। হাসপাতাল, চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বার, ও বস্তি এলাকার গ্রাম্য চিকিৎসকদের কাছে গিয়ে তারা চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত বেশিরভাগ রোগীই সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা না নিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর দিকে ঝোঁকে পড়ছে। তাছাড়া অধিকাংশ রোগীকেই বিভিন্ন প্রাইভেট ডাক্তারের চেম্বারে ধর্ণা দিতে দেখা গেছে। তবে নিম্ন আয়ের মানুষরা চিকিৎসা সেবা নিতে ছুটছেন সরকারী হাসপাতালে।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কামরুল ইসলাম বলেন, “পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রনের মধ্যে রয়েছে। হাসপাতালে চাহিদামত ঔষধ সরবরাহ রয়েছে যেগুলো হাসপাতালে নেই সেগুলো বাইরে থেকে আনা হচ্ছে। কয়েকদিনের প্রচন্ড তাপদাহে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের শতাধিক রোগী হাসাপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, ‘এদের মধ্যে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ভাইরাস জনিত জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট রোগীর সংখ্যা বেশী।’
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের অবজারবেশন অফিসার আনিসুর রহমান জানান, গত কিছুদিন ধরে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। যদিও মাঝে মধ্যে ধমকা হাওয়া সহ বৃষ্টি হলেও গরমের তীব্রতা কমছে না। এ অবস্থা আগামী কিছুদিন অব্যাহত থাকবে।
কমলগঞ্জে প্রচন্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুরা
শেয়ার করুন