- মৌলভীবাজার প্রতিনিধি.
- মৌলভীবাজারে মনু নদীর পানি শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর ধলাই নদীর পানি কমে বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে রাতের মধ্যে পানি কমে যাবে বলে জানিয়েছেন মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী। তিনি রাতে বলেন,এর আগে ধলাই নদী বিপদসীমার ১৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।’
-
এছাড়া গত (১৩জুন) বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে মৌলভীবাজার পওর বিভাগ থেকে জরুরী বার্তা দেয়া হয়েছে। বন্যা মোকাবেলার জন্য জন সাধারণকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী আরো বলেন,‘গত কয়েকদিন ভারতে বর্ষণের ফলে মনু ও ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উভয় নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছি। রাত জেগে আছি।’
এদিকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কমলগঞ্জ উপজেলায় ধলাই নদীর বাঁধের পুরানো ভাঙ্গন দিয়ে পানি বেরিয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ ৫/৭ টি গ্রামের কিছু এলাকায় প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, (১৪জুন) শুক্রবার সকালের দিকে ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঘোড়ামারা গ্রাম এলাকায় বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। -
নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের পুরাতন একটি ভাঙ্গন দিয়ে পানি বের হয়ে প্লাবিত হওয়ায় ঘোড়ামারা ও নাজাতকোনা গ্রামের ২০/৩০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েন। ফলে গ্রামের আব্দুল ওয়াহিদ, নুরুজ্জামান মিয়া, তমিজ উদ্দীন, রমিজ উদ্দীন, মন্নাফ মিয়া, জমশেদ মিয়া, মর্জিনা বিবি, আবেদা বেগম, আব্দুল গফুর, ছমেদ মিয়া, ওয়েছ মিয়া, হেলাল উদ্দীন, সাজেদা বেগম, মাজিদা বেগমের বাড়ি ঘর ভাঙ্গনের ঝুঁিকতে।
কমলগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ঘোড়ামারা গ্রামের হোসেন আলী বলেন,ধলাই নদীর ভাঙ্গনে এই গ্রামের পনেরো পরিবার নি:স্ব হওয়ার পথে। নদীর বাঁধ মেরামত না হওয়ায় ¯্রােতের পানি থাকায় বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেছে।থাকার মতো স্থায়ী জায়গা নেই।’
কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দীন বলেন,‘পানি উন্নয়ন বোর্ড গত বছর কাজে আসলেও কিছু মানুষের আপত্তির কারণে কাজ করা সম্ভব হয়নি।’
কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, সরেজমিনে ঘুরে দেখছি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ব্যবস্থা গ্রহণের নিদের্শ দিয়েছি।’
জানতে চাইলে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন, বিগত ২০১৭সনে বাঁধ মেরামতের জন্য জন্য যে প্রকল্প নেয়া হয় সেখানে স্থানীয়দের আপত্তির কারণে ঠিকাদার কাজ করতে পারেনি। পরে বাধ্য হয়ে ঠিকাদার চলে আসেন। বর্তমানেও যদি জন প্রতিনিধিসহ স্থানীয়দের সহযোগিতা পাওয়া যায় এবং ঘরগুলো সরানো হয় তাহলে কাজ করা সম্ভব হবে।’
মৌলভীবাজার মনু নদীর পানির বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ধলাই নদীর পানি কমতে শুরু করেছে-
শেয়ার করুন