কানাইঘাট প্রতিনিধি ঃ
স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবি, থানা পুলিশের উদাসীনতায় কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারত থেকে গরু-মহিষ আসা কোন মতেই বন্ধ হচ্ছে না। প্রায় ৩ মাস ধরে প্রতিদিন কানাইঘাটের দনা, লোহাজুরি, সাউদগ্রাম, সোনারখেওড় সীমান্ত এলাকা দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে গরু-মহিষের চালান কানাইঘাটে আসছে। ভারত থেকে আসা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এসব গরু-মহিষের কোন ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে না। জানা গেছে, ভারত থেকে যেসব গরু-মহিষ আনা হচ্ছে তা এক থেকে দুই মাসের মধ্যে মৃত্যু হয় বিষাক্ত ইনজেকশন প্রয়োগের ফলে। এসব গরু-মহিষের অবাধ বিচরনের কারনে এসব সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। ভারতীয় গরুর অবাধ বিচরনে সীমান্ত এলাকার অনেক রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। ভারতীয় মহিষের আক্রমনে ইতিমধ্যে সীমান্তবর্তী কান্দলা গ্রামের জব্বার মিয়া নামে একজন মারা গেছেন, আহত হয়েছেন অনেকে। স্থানীয় এলাকাবাসী রাস্তাঘাট রক্ষার্থে চোরাকারবারীদের বাধা দিলেই তারা স্থানীয় লোকজনদের উপর হামলা করে অনেককে আহত করে বলে জানা যায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহল ভারত থেকে গরু-মহিষ আনার সাথে জড়িত চোরাকারবারী গরু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন এবং রাস্তাঘাট রক্ষা করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আহŸান জানিয়ে আসলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। মনে হয় গরু ব্যবসায়ী, চোরাকারবারী ও তাদের মদদ দাতাদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে প্রশাসন। স্থানীয় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, প্রতিদিন প্রকাশ্যে ভারত থেকে শত শত গরু-মহিষ অবৈধ ভাবে সীমান্ত এলাকা দিয়ে ঢুকছে। আইন শৃংখলা বাহিনী ও প্রশাসনের কোন ধরনের মাথা ব্যথা নেই। চোরাকারাবারীদের বেপরোয়া আচরনে এসব এলাকার মানুষ তাদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়, সড়কের বাজার এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার শেল্টারে থানা পুলিশ ও বিজিবির সাথে একধরনের আতাতের কারনে প্রকাশ্যে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে নিয়ে আসা গরু-মহিষ চোরাকারবারীরা বেপরোয়া হয়ে সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রতিদিন শত শত গরু-মহিষ কানাইঘাটের সড়কের বাজার নিয়ে এসে দেশের বিভিন্ন এলাকার গরু ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে থাকে। বিজিবি মাঝে মধ্যে কিছু গরু-মহিষ আটক করে নিলামে বিক্রি করে থাকে।
সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতীয় গরু-মহিষ চোরাকারবারী চক্র ও তাদের মদদদাতা এবং এসব গরু-মহিষ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোন থানা মাসিক ও দৈনিক কত টাকা নিচ্ছেন এবং কোন কোন নেতা শেল্টার ও টাকার ভাগ বাটোয়ারা পাচ্ছেন পরবর্তী প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হবে।