রেজাউল ইসলাম, টরন্টো, কানাডাঃ
কাল ছিল কানাডা ডে। কানাডার জন্ম দিন। দিনটি ছিল সরকারি ছুটির দিন। সারা দিনব্যাপী ছিল নানা আয়োজন। মেইন স্ট্রিম কালচারের নানা অনুষ্ঠানের মাঝে কানাডিয়ান বাংলাদেশীরাও এবার নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বাংলাদেশীদের একই দিনে একাধিক অনুষ্ঠান থাকলে কোন অনুষ্ঠানটিতে গেলে আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়, উপভোগ করা যায় এই নিয়ে সবার মধ্যে থাকে একটা টানাপোড়েন। কোন অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখা গেলো কোন আনন্দ নেই, প্রাণ নেই, প্রাণের ছোঁয়া নেই, ফলে দিনটাই মাটি হবার সম্ভবনা থাকে।
তবে এবার যারা যারা বার্চমাউন্টে আয়োজিত পথমেলায় গিয়েছেন তাদের ষোলো আনাই উসুল বলা যায় (যদিও কোন টিকেটের জন্য ষোলো আনার মধ্যে কোন আনাই খরচ করতে হয়নি)। হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে মনমাতানো এই অনুষ্ঠানটি সবাই প্রাণ ভরে উপভোগ করেছে। অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল প্রখ্যাত চলচিত্র পরিচালক এবং অভিনেতা খান আতার ছেলে আগুন এবং বেবি নাজনীন। অনুষ্ঠানটি যতটুকু দেখেছি তাতে মনে হয়েছে অনুষ্ঠানটিতে আনন্দ ছিল, প্রাণ ছিল, প্রাণের ছোঁয়া ছিল।
আগুনের কণ্ঠে আগুন ঝরেছে। “রূপ সাগরে ঝলক মারিয়া পাগল করলি আমারে “, “ও আমার চিরদিনের সাথী ওগো পথ চলার”, “বাবা বলেছে ছেলে নাম করবে”, অতি পরিচিত গানগুলি দর্শক শ্রোতাদের উদ্বেলিত করেছে, মাতিয়েছে। প্রয়াত আইযুব বাচ্চুর জনপ্রিয় গান “সেই তুমি কেন এতো অচেনা হলে” গানটি আগুনের কণ্ঠে সবার হৃদয়কে ছুঁয়ে গেছে। আগুন আমাদের গৌরব, অর্জন মহান মুক্তিযুদ্ধ স্মরণে একটি গান গেয়ে শোনান। বেবি নাজনীনের পর্ব আসার আগেই বিশেষ কারণে শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি দেখার সুযোগ হয়নি তবে উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদের কাছ থেকে জানা গেছে, বেবি নাজনীন তার সমগ্র সময়টুকু তার সব জনপ্রিয় গান গেয়ে সুরেলা কণ্ঠের তরঙ্গে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের মাতিয়ে রেখেছিলেন ।
পথমেলার এই সফল অনুষ্ঠানটি ছিল এবার পঞ্চম বার। প্রতি বৎসর কানাডা ডেতে পথমেলা আবার আসবে, বার বার আসবে। অনুষ্ঠানটিতে বাঙালী, বাংলাদেশীদের পাশাপাশি অন্যান্য কমিউনিটির মানুষের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে।পথমেলায় আরো উপস্থিত ছিলেন মিনিস্টার অফ বর্ডার সিকিউরিটি এন্ড অর্গানাইজড ক্রাইম বিল ব্লেয়ার, স্কারবোরো সাউথওয়েস্টের এমপিপি ডলি বেগম, স্কারবোরো সাউথ ওয়েস্টের কাউন্সিলর গ্যারী ক্রাফোর্ড, স্কারবোরো সাউথ ওয়েস্টের কানাডিয়ান বাংলাদেশী কাউন্সিলর প্রার্থী মহসিন ভূঁইয়া দর্শক সারিতে উপস্থিত ছিলেন। এমপি সালমা জাহিদ অনুষ্ঠানে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় ছিলেন কমিউনিটির সবার প্রিয় জনপ্রিয় মুখ অজন্তা চৌধুরী। উপস্থাপনায় আরো ছিলেন জনপ্রিয় উপস্থাপিকা ফারহানা আহমেদ।
অনুষ্ঠানটির মূল আয়োজক ছিলেন প্রতিষ্ঠিত রিয়ালটর মনির ইসলাম, শংকর দে, তাহমিদ আহমেদ, কমিউনিটির সর্ব শ্রদ্ধেয় নওশের আলী, তানবীর কোহিনুর, সাঈদূন ফয়সাল, মিঠু ভাই, এবাদ চৌধুরী, সায়ীদ চৌধুরী, সাদ চৌধুরী এবং আরো অনেকে।।
মনোজ্ঞ এবং জমজমাট এই অনুষ্ঠানটির জন্য আয়োজকদের দর্শক, শ্রোতার সারি থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।