একই পরিবারের তিনজনকে অচেতন করে সর্বস্ব লুট

  • শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহরের মৌলভীবাজার রোডস্থ ন্যাশন্যাল ব্যাংকের পেছনে একটি বাসায় একই পরিবারের তিনজনকে খাবারে সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    শুক্রবার সকালে অচেতন অবস্থায় তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।

    অচেতন তিনজন হলেন- শহরের থানার বিপরীতে অবস্থিত শ্রীমঙ্গল কোকারিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ী মাসুদ রানা ভূইয়া (৪৬), তার স্ত্রী করুণা মাসুদ (৩৫) ও ছেলে গোলাম মর্তুজা রুপু (১৩)।

    মাসুদের স্ত্রী করুনা জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় পরিবারের তিনজন একই সঙ্গে রাতের খাবারের পর ঘুমিয়ে পড়েন। এর পর আর কিছু বলতে পারি না। সকাল ছয়টায় চোখ খুলে দেখেন ঘরের আসবাবপত্র সবকিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। একটি জানালার গ্রীল কাটা। তার স্বামী ও সন্তান খালি গায়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। এসব দেখে তিনি আশপাশের প্রতিবেশী সকলকে ডাকেন। এর পর খবর পেয়ে পুলিশ আসে।

    মাসুদের বড় ভাই গোলাম মোস্তফা জানান, ছেলে ও স্বামীকে চিৎকার করে ডাকাডাকি শুরু করলে আবোল-তাবোল কথা বলে বার বার বমি করে আবারও ঘুমিয়ে পড়ে। তার স্ত্রীও অচেতন ছিল তবে কিছুটা স্বাভাবিক ছিল। পরে তাদেরকে সকাল সাড়ে নয়টারদিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

    তিনি জানান, চোরেরা বাসায় থাকা নগদ ১৭/১৮ হাজার টাকা, তার গলায় পরনে স্বর্ণের চেইন, কানের দুলসহ ৬০/৭০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়।

    এ ব্যাপারে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো.মহসিন জানান, খাবারের মধ্যে চেতনানাশক হাইডোজের ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে তাদেরকে অচেতন করা হয়েছিল। চিকিৎসা চলছে। ২৪ ঘণ্টা পর কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।

    তিনি বলেন, ‘যদি কোনো হার্ডের সমস্যার রোগী বা বয়স ও ওজন কম মানুষদের বেলায় এ ধরনের ঘটনা ঘটে তাহলে মাত্রতিরিক্ত ঔষধে মারাও যেতে পারে।’

    শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত সোহেল রানা বলেন, সংঘবদ্ধ চোর চক্র খাবারে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে চুরি করে থাকে। এ ঘটনায় তদন্ত ও পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে।

শেয়ার করুন