দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারকে ইতিপূর্বে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণা করা হলেও আদৌ তা ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। সমাজের একশ্রেণির মধ্যস্বত্বভোগি প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বাল্য বিয়ের প্রচলন অব্যাহত থাকায় এলাকার অপরিণত বয়সের ছেলেমেয়েদের ক্রমশ ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। আর এসব পরিচালিত হচ্ছে প্রশাসনের আড়ালে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার রাতে উপজেলার বগুলা ইউনিয়নের বগুলা বাজার এলাকায় এক বাল্যবিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা যায়, ওই বাজারের আব্দুর রউফ মেকারের মেয়ে সোনিয়া আক্তার (২৫) এর সাথে বগুলা (দক্ষিণ) গ্রামের মফিজ মিয়ার ছেলে স্থানীয় বগুলা রোছমত আলী রামসুন্দর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র হিরা মিয়া (১৬) কে বিয়ের পিড়িতে বসানো হয়। ছেলের পিতা মফিজ মিয়া এ বিয়েতে রাজি নন। তিনি জানান, অর্থনৈতিক ফায়দা লুটতে পরিকল্পিতভাবে আমার স্কুলে পড়ুয়া অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেকে ফুসলিয়ে নিয়ে ওই মেয়ের সাথে বিয়ে পড়িয়ে দেন কনে পক্ষের লোকজন। এ সময় বিয়ে না পড়ানোর শর্তে আমার কাছে মোটা অংকের অর্থ দাবি করা হয়। আমি জাতকুলের মর্যাদা রক্ষার্থে আমার ছেলেকে বিয়ের পিড়িতে না বসানোর শর্তে তাদের দাবিকৃত অর্থের কিয়দাংশ পরিমাণ পরিশোধ করতে চাইলেও কনেপক্ষ তাতে কর্নপাত করেনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম জুয়েল জানান, ছেলে-মেয়ের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক গড়ে ওঠায় সম্প্রতি তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে বাড়ি ফিরে এলে বর-কনের সম্মতিতেই রোববার রাতে তাদেরকে বিয়ের পিড়িতে বসানো হয় বলে মেয়ের বাপ আব্দুর রউফ তাকে জানিয়েছেন।