প্রিয়া সাহা নিয়ে দশটি কথা

 

শফিকুল ইসলাম.
………………………………
১। প্রিয়া সাহা একাই এ কাজ করেন তা না। অনেক অনেক প্রিয়া সাহা এটা করেন। বিদেশের প্রভূদের কাছে নিজ স্বার্থে দেশের হেন কোন বদনাম নেই যা করেননা।

২। দেশে মৌলবাদী দু ঘরানার। এক- ডানপন্থী বাংলা ভাই জঙ্গী গং। দুই- প্রিয়া সাহা গং। দুগ্রুপই দেশ ও মানবতার জন্য ক্ষতিকর। এদেরকে প্রতিহত করতে হবে। প্রথম গ্রুপের বিরুদ্ধে বাংলার রাষ্ট্র ও সমাজ সজাগ আছে এবং প্রতিহত করছে। দ্বিতীয় গ্রুপকেও নজরে রাখতে হবে। যাতে করে এদের কারণে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সুনাম বিঘ্নিত না হয়।

৩। প্রিয়া সাহার বক্তব্যে দেশের ক্ষতি হয়েছে, সরকারের ক্ষতি হয়েছে, বাংলার ধর্মীয় সম্প্রীতিতে আঘাত করেছে। তার বক্তব্য সরকারের সকল ধর্মনিরপেক্ষ প্রচেষ্টাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। প্রিয়া যা বলেছে তা কোন প্রেক্ষাপটে নিয়ে বিবেচনার সুযোগ নেই। মিথ্যা মিথ্যাই। অর্ধসত্য বলে সাফাই যারা গাইবেন তারাও প্রিয়া সাহারই মতো।

৪। প্রিয়া সাহা যে আমেরিকায় গেলেন, তাঁর দুসন্তান যে ওখানে পড়ে ইত্যাকার খরচ কোথা থেকে আসে? আয়ের উতস কী? তা চেক করে দেখা জরুরি।

৫। কোন মানুষ কোন ধর্মের সেটা বিষয়না, বিষয় হলো সে কী কাজ করেছে। সুতরাং কর্মের জন্য প্রিয়া সাহা ও অনুরূপ গংদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি। সামজিক প্রতিরোধও জরুরি। প্রিয়া সাহাতো দেশ ছেড়ে পালাবে। ওখানে রিফ্যুজি হবে। তাঁর স্বামী যেন দেশ ছাড়তে না পারে তার ব্যবস্থা করা জরুরি। তাঁদের অবৈধ অর্জিত সকল সম্পদে সীলগালা জরুরি।

৬। দেশকে ভালোবাসা মানে মায়ের মতো ভালোবাসতে হবে। মা যেমন সন্তানের দোষ কখনো কখনো একটু গোপন করেন, প্রয়োজনে তাও করা যেতে পারে। সেখানে এরকম মিথ্যাচার স্পষ্ট ষড়যন্ত্র। রাষ্ট্রদ্রোহিতা।

৭। প্রিয়া সাহারা আমাদের আশেপাশেই আছে । কথা বললেই বোঝা যায়। এদের থেকে সাবধান!

৮। প্রিয়া সাহারা তলারটা খায় গাছেরটা কুঁড়ায়। এদের পেট ভরেনা। এদের লোভের জিহভা আসমান সমান বড়। দেশের সব সুবিধা নিয়েছে, দেশে নিজেরাই ক্ষমতার বিভিন্ন ধাপে আছে আর মজা লুটে নিচ্ছে আবার নিজেরাই বিদেশে গিয়ে আশ্রয় চায়, দেশের বদনাম করে, দেশকে অপমান করে। আখের গোছাতে ব্যস্ত।
এরকম আখের গোছানোতে ব্যস্ত প্রিয়া সাহা কতজন? হাজার হাজার। চোখ রাখুন আশেপাশে। কথাবার্তায় টের পাবেন।

৯। কোন একটি ধর্মের হলেই এরা প্রগতিশীল, উদার হবে এমন ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। গণহারে তাঁদেরকে প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলোর পদ-পদবীতে প্রবেশ করতে দেওয়া ঠিক হবেনা। কারণ ভবিষ্যতে এদের কারণে রাজনৈতিকদল বিপদে পড়বে। প্রিয়া সাহারা নব্য রাজাকার। পাকি ভূত। ভিন্ন ফরমেটে।

১০। প্রিয়া সাহা সহ কতিপয় লোক এরকম বিশ্বাসঘাতকতায় জড়িত। এ কতিপয় ছাড়া সবাই সকল ধর্মের সকল মতের সাধারণ মানুষ নিরীহ। সকলে আমরা মিলেমিশে থাকি, পারস্পরিক শ্রদ্ধা রাখি। একজন বা কয়েকজনের দায় অন্যের উপর না চাপাই।

 

 

 

২০.৭.২০১৯

শেয়ার করুন