ছেলেধরা সন্দেহে চারজনকে গণপিটুনি

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি.
মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে চারজনকে গণপিটুনি দিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় পুলিশের কাছে সৌপর্দ করার খবর পাওয়া গেছে।
কুলাউড়াঃ
কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুরে ছেলেধরা সন্দেহে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা ।

রবিবার (২১ জুলাই) রাতে উপজেলার পীরের বাজারের খাতাইর পার গ্রামে অপরিচিত যুবককে সন্দেহজনকভাবে একটি বাড়ির ঘরে প্রবেশ করতে দেখতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে আটক করা হয়। পরে ছেলেধরা সন্দেহে স্থানীয় জনতা কুলাউড়া  পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

আটক যুবকের নাম বসন্ত কর (২১)। সে কমলগঞ্জ উপজেলার পৌরসভার এলাকার আলেপুর গ্রামের নরেন্দ্র করের ছেলে।ঘটনার খবর পেয়ে থানার পুলিশ ওই  এলাকা থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে  আসে।

কমলগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক কানাইলাল চক্রবর্তী বলেন, এ যুবককে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তাকে জিঞ্জাসাবাদ করা হচ্ছে।

অপরদিকে,
কমলগঞ্জ উপজেলার পৃথক এলাকায়  ছেলেধরা সন্দেহে দুই জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. আনিছুর রহমান ও সুসেন দাস  জানান, রবিবার সন্ধ্যার  দিকে উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের দেওড়াছড়া চা বাগান এলাকায় এক অপরিচিত যুবককে সন্দেহজনকভাবে ঘুরাফেরা করতে দেখে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরে ছেলেধরা সন্দেহে স্থানীয় জনতা গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
আটক যুবকের নাম সানাউল্যাহ (২৫)। সে বি-বাড়িয়া জেলার সরাইল থানার বাসিন্দা। সে মানসিক ভারসাম্যহীন।

অন্যদিকে,উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের উবাহাটা গ্রাম এলাকা থেকে ছেলে ধরা সন্দেহে শহীদুর রহমান (৩২) নামের যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আটক শহীদুর রহমান কমলগঞ্জ উপজেলার ৫নং কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সরইবাড়ি গ্রামের মখলিছুর রহমানের ছেলে ।
কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান জানান, ‘দুই যুবককে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’
মৌলভীবাজারঃ
আবার মৌলভীবাজারের শহরের চাঁদনীঘাট এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে শ্রীমঙ্গল শহরের এক রিক্সা চালক চন্দন পাল (৪৫)কে গণপিটুনি দেয়  স্থানীয় জনতা।

 ২১জুলাই রবিবার দুপুরের দিকে শহরের চাঁদনীঘাট ব্রীজের পাশে ফরেস্ট অফিস সড়কে রিকশা চালক ঐ যুবককে ছেলেধরা সন্দেহ হলে স্থানীয় পথচারীরা গণপিটুনি দিয়ে আহত করে।

আহত চন্দন পাল শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর এলাকার কালিপদ পালের ছেলে ।

খবর পেয়ে মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় চন্দনকে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি  মো. আলমঙ্গীর হোসেন বলেন, আহত যুবক পেশায় রিকশা চালক। সে শ্রীমঙ্গল শহরে রিকশা চালায়। তিনি আরও বলেন, মৌলভীবাজার শহরে তার পূর্ব পরিচিত এক লোকের সন্ধানে স্থানীয় চাঁদনীঘাট এলাকায় খোঁজাখুঁজি অবস্থায় সন্দেহ হলে পথচারী জনতার রোষানলে পরে গণপিটুনির শিকার হয়।

শেয়ার করুন