মৌলভীবাজার প্রতিনিধি.
মৌলভীবাজার জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলায় ছেলেধরা গুজব ঠেকাতে মাঠে নেমেছে থানা পুলিশ।
সোমবার (২২ জুলাই) পুলিশের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী শ্রীমঙ্গল ও বড়লেখায় পৃথক উপজেলার বিভিন্নস্থানে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে প্রচারণাও চালানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছেলে ধরার গুজবে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই আতঙ্কে বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি অনেকটা কমে গেছে।
এই বিষয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য সোমবার (২১-২২ জুলাই) সকাল থেকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় মাইকিং করে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়।
বড়লেখা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বড়লেখা উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় মাইকিং, প্রচারপত্র বিলি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে প্রচারণা চালানো হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আব্দুছ ছালেক ও বড়লেখার থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক বলেন, ছেলেধরা গুজব ঠেকাতে এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে মাইকিং এবং লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কাউকে সন্দেহ হলে গণপিটুনি না দিয়ে থানা পুলিশকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানান।’
মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন বলেন, সদর উপজেলার বিভিন্ন স্কুল প্রতিষ্টানে আতংকিত না হওয়ার আহবান করছেন।তিনি আরওবলেন,কাউকে সন্দেহ হলে গণপিটুনি না দিয়ে পুলিশে সৌপর্দ করার জন্য আহবান করেছেন। গণপিটুনি দিয়ে হত্যা এবং গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা একটি ফৌজদারী অপরাধ। কেউ এধরনের গুজব ছড়ালে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, পদ্মাসেতুতে মানুষের মাথা লাগবে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর দেশে হঠাৎ করে ছেলেধরা আতঙ্ক বেড়ে গেছে। ছেলে ধরা আতঙ্কে মৌলভীবাজার জেলাসহ সারাদেশে অসংখ্য গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।