ওমর ফারুক নাঈম, মৌলভীবাজার :: শিল্পা বেগম থাকেন মৌলভীবাজারের চাঁদনিঘাট এলাকায়। তিনি আজ ৫ দিন ধরে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের ডেঙ্গু কর্ণারে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডাক্তাররা বলছেন, তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ঢাকায় যাননি। তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মৌলভীবাজারে থেকেই।
হাসপাতালে কথা হয় শিল্পা বেগমের সাথে। তিনি জানান, শহরের সুলতানপুর এলাকায় তিনি একটা বাসায় কাজ করেন। হঠাৎ খেয়াল করেন মশায় কামড় দিয়েছে। এর পর থেকে তার জ্বর। পরে রক্ত পরীক্ষায় ধরা পড়ে ডেঙ্গু।
মৌলভীবাজারে এ রকম ৪ জন রোগী আছেন যারা স্থানীয়ভাবেই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। কমলগঞ্জ পতনঊষার এলাকার মালেক এবং পলি ক্লিনিকে ভর্তি চাদনিঘাট এলাকার জাবেদও স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে মৌলভীবাজারে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ জনে। এমন তথ্য জেলা সিভিল সার্জন ডা. শাহজাহান কবির জানিয়েছেন।
সিভিল সার্জন ডা. শাহজাহান কবির বলেন, ‘বর্তমানে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ১০ জন চিকিৎসাধীন আছেন। ভর্তি হওয়া অধিকাংশ রোগীই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।’
জানা গেছে, মৌলভীবাজার জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রুগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। চারিদিকে ডেঙ্গু আতংঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অতি আশঙ্কাজনক রোগীকে সিলেটে ও ঢাকায় রেফার্ড করা হচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালের চতুর্থ তলায় আলাদা ডেঙ্গু কর্ণার চালু করা হয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় মৌলভীবাজার জেলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৭ জন। তবে জেলার ডেঙ্গু আক্রান্তদের সিংহভাগই ঢাকা থেকে ডেঙ্গু নিয়ে এসেছেন।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডেঙ্গু কর্ণারে চিকিৎসাধীন শ্রীমঙ্গলের রুহিন জানান, তিনি ঢাকায় ভার্সিটি কোচিংয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হন।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. শাহজাহান কবির বলেন, ‘ডেঙ্গু মোকাবেলায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্ক রয়েছে। স্থানীয়ভাবে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা বলতে রাজি হচ্ছেন না যে তারা ঢাকায় গিয়েছিলেন।’
সিলেটভিউ২৪ডটকম.