কুলাউড়ায় রাতে খাবার খেয়ে নবম-শ্রেণীর শিক্ষার্থীর মৃত্যু

  • মৌলভীবাজার প্রতিনিধি.
  • মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাক্ষণবাজার ইউনিয়নের রাতের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে ইমা আক্তার (১৬) নামে এক নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর চিকিৎসাধীনবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
    আজ রবিবার সকালে কুলাউড়া উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে এতথ্য নিশ্চিত করেন।
    শনিবার (১০ আগষ্ট ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ভর্তির পর চিকিৎসাধীনবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
    গত শুক্রবার রাতে উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের হেলানগর গ্রামে নিজ বাড়িতে রাতে খাবার খেয়ে এই ঘটনা ঘটে। একই সঙ্গে খাবার খেয়ে ওই ছাত্রীর মা ও বড় ভাই অসুস্থ অবস্থায় সিলেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
    নিহত ইমা স্থানীয় হিঙ্গাজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে ওই গ্রামের মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী আব্দুর রহিমের মেয়ে।
    পুলিশ স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী স্ত্রী জাহানারা বেগম (৪৬) তার দুই সন্তান ইমন মিয়া (১৯) ও ইমাকে নিয়ে হেলানগর গ্রামেই বসবাস করেন। গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ৩ জন একসঙ্গে খাবার খায়। এরপর বমি করতে শুরু করে তারা তিনজনই। রাতেই স্বজনেরা তিনজনকে কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ইমা চিকিৎসা না নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। এরপর তার শারিরীক অবস্থা অবনতি দেখা দেয়। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ইমাকে কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীনবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তবে স্থাণীয় প্রতিবেশির ভাষ্যমতে প্রবাসীর সাথে তার ভাই আব্দুস শহীদের পারিবারিক বিরোধ রয়েছে।
    এদিকে শনিবার নিহতের মা জাহানারা ও ভাই ইমনকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। সেখানে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
    কুলাউড়া উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুল হক বলেন,হাসপাতালে জাহানারা, ইমন ও ইমা বমি ও মাথাব্যথা ছিল। তবে ইমা চিকিৎসা নিতে রাজি হয়নি। খাবারে বিষ-ক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তারা তিনজনই অসুস্থ হয়েছে বলে ধারণা । তবে কোন ধরনের বিষ ছিল তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কিছুই বলা যাবে না।’
    কুলাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন,‘ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
  • কুলাউড়া থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান বলেন,এপর্যন্ত হাতে কোন অভিযোগ আসেনি। তবে এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।’
শেয়ার করুন