মিথ্যা মামলা ও হামলা থেকে রক্ষা পেতে—-

বিশেষ প্রতিনিধি.
মৌলভীবাজার জেলার মাতারকাপন এলাকার বাসিন্দা মায়া রাণী মালাকার ও তার পরিবারের লোকজন কর্তৃক দায়ের কৃত মিথ্যা মামলা ও হামলা থেকে রক্ষা পেতে ঐ এলাকার বাসিন্দা মায়া মালাকার বিসুরী স্বামী অজিদ মালাকার,নিপেন্দ্র মালাকার পিতা সুরেশ মালাকার,রতই মালাকার পিতা সুরেশ মালাকারসসহ দীর্ঘদিন ধরিয়া এলাকায় বিভিন্ন অসামাজিক কার্য্যকলাপের সহিত জড়িত।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর)  সকাল ১১ টার দিকে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ পিপএম (বার)  এর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয় মায়া রাণী মালাকার হিন্দু ধর্ম মতে রাজনগর এলাকার সুকুমার মালাকারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরবর্তীতে ০১/১০/২০০২ তারিখে রাজনগর থানার গোবিন্দবাটি এলাকার আমরুল মিয়ার ছেলে জয়নুল মিয়ার সঙ্গে ধর্মান্তরিত হয়ে সাজনা বেগম নাম ধারন করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
পরবর্তীতে মায়া রাণী মালাকার জয়নুল মিয়ার নিকট থেকে অর্থনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের এক মামালা দায়ের করেন যার নং জি,আর,১৯৪/০৩ পরবর্তীতে উক্ত মামলার চুড়ান্ত রিপোর্ট আসে। পরবর্তীতে মায়া রাণী মালাকার সাজনা বেগম নাম উল্লেখ করে তার স্বামী জয়নুল মিয়ার বিরুদ্ধে পারিবারিক ভরন পোষনের দাবীতে আরও একটি মামলা করেন এবং মোটা অংকের টাকা উদ্ধার করে জয়নুল মিয়ার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
বর্তমানে মায়া রাণী মালাকার অজিত মালাকারের সাথে হিন্দু ধর্ম মতে বিবাহ করে মৌলভীবাজার শহরের একটি ভাড়াটিয়া বাসায় থেকে রাত্রের বেলা তার পিতা সুরেশ মালাকারের বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক আপত্তিকর কার্যকালাপে লিপ্ত হন। তিনি বিগত ১৮/০৮/১৯৯৯ ইং সি আর নং ৩০৩/৯৯ বিবাদি খালিছ গং এবং ১৬/০৫/০৮ইং থানা মামলা নং ২০/০৮/০৮ ইং জি আর মামলা নং ১৪৬/০৮বিবাদী দিলিপ কুমার দেব গং তিনি বিগত ২১/০৭/১০ মায়া রাণী মালাকার স্বামী অজিদ মালাকার নাম উল্লেখ করে এলাকার কাশেম মিয়া গং এবং আরও ৩ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু মামলা করেন উক্ত মামলাগুলো বর্তমানে বিচারাদিন রয়েছে।
লিখিত অভিযোগে বলা হয় মায়া রাণী মালাকার বিভিন্ন সময় তিনি এবং তার পরিবারের লোকজন দিয়ে এলাকার নিরিহ লোকদের উপর মামলা করে আসছেন মোটা অংকের টাকা পেলে তিনি মামলা তুলে আনেন। মায়া রাণী মালাকার এবং তার পরিবারে লোকজনদের অনৈতিক কর্মকান্ড জানা সত্ত্বে তাদের ভয়ে ও মান সম্মানের ভয়ে এলাকার কেহ কোনো কথা বলেননা,যারা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার চেষ্টা করেছে তাদেরকে নিজে কিংবা পরিবারের লোকজন দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার মত মারান্তক মামলা দিয়ে তাদের কাছ থেকে অর্থনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করে।
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যর বিরুদ্ধে চুরির দায়ে গত ০১/০৯/১৯ তারিখে ৭ নং চাঁদনীঘাট ইউনিয়নে সালিশ বৈঠক তাদেরকে ১৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। বিচার শেষে বাদী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাহির হলে সুজিত মালাকারের নেতৃত্বে বাদীকে মারধর করে আহত করা হয়।আহত অবস্থায় ঘটনাস্হলে পুলিশ এসে বাদীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয় হয়।এর পরিপেক্ষিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগ দায়ের করার পরবর্তীতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এলাকার লোকজনদের হত্যা এবং মামলা করার হুমকি দিচ্ছে।
মায়া রাণী মালাকার ও তার পরিবারে লোকজনদের হয়রানি থেকে রক্ষা করার জন্য সরেজমিনে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ সুপারের প্রতি এলাকাবাসীর অনুরোধ।
শেয়ার করুন