জীবন-মৃত্যুর ঝুকিঁ নিয়ে, প্রতিনিয়ত শ্রমিকরা মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছে -মসিউর রহমান বাবু

নিপুন জাকারিয়া, জামালপুর।।

বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন (৮২২) নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মশিউর রহমান বাবু।

সাধারন সম্পাদক পদে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার আগে শ্রমিকদের সুখ-দুঃখের নিত্য সঙ্গি, জননন্দিত নেতা মশিউর রহমান বাবু বলেন, পরিবারের দাৱিদ্ৰতাকে জয় করতে, মা-বাবা বোঝা মনে করে, ওই বালক বা শিশুটিকে, আমাদের কাছে নিয়ে আসে। পরিবারে যে শিশুটি ছিল বঞ্চিত, অবহেলিত তাকে আমাদের কাছে রেখে যায়। আমরা তাকে প্রথম তিন মাস গাড়ীর চাকা পরিষ্কার ও গাড়ী পরিচ্ছন্ন করানোর কাজে লাগিয়ে দেই। তারপর ওই ছেলেটি যখন ধীৱে ধীৱে বিশ্বস্ত্য হয়ে উঠে, তখন তাকে ওই গাড়ীর হেলপার এবং পরর্বতীতে সুপারভাইজার কাজে লাগানো হয়।

এভাবে দীর্ঘ সময় পার হওয়ার পর গাড়ীর স্টিয়ারিং ধরে পার্কিং করতে করতে একদিন ড্রাইভারের দায়িত্বে নিজেকে নিয়োজিত করে, দৱিদ্ৰ ওই পরিবারের মুখে হাসি এনে দেই।

আমার এ শ্রমিকদের, সরকারের পক্ষ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক কোন প্রকার টেনিং এর ব্যবস্থা নেই। সরকার যেন তাদের আধুনিক প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করেন তিনি তার জোর দাবী জানান।

তিনি আরো বলেন- আমার ড্রাইভার প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মধ্যে রাত অবদি, নিজেকে মানুষের সেবাই নিয়েজিত রাখে। তার ঘুমন্ত সন্তানটিকে বিছানায় ঘুমে রেখে যায়। গভীর রাতে সে যখন ফিরে, ফিরে দেখে শিশুটি ঘুমিয়ে পড়েছে। সন্তান ঠিক ভাবে চিনেনা তার পিতার চেহারা । তারা ঝড়-বৃষ্টি অপেক্ষা করে, নিজের পরিবারের লোকদের কথা চিন্তা না করে, আপনাদের সঠিক গন্তব্য পৌছে দেই।

যেখানে মাজার-দরগা কিংবা ধর্মীয় কোন প্রতিষ্ঠান নজরে আসে, সাধ্যেমত দান দক্ষিণা করার চেষ্টা করে।

মানুষ তো দূরের কথা, আমার শ্রমিকরা, পাখি সামনে পেলেও গাড়ী থামিয়ে দেয়। তার প্রানীটির জীবন বাচাঁনোর চেষ্টা করে। যারা আমার শ্রমিকদের কুকুর সাথে তুলনা করেন, তার সাফ জানিয়ে দিতে চাই। আমার শ্রমিকরা ইচ্ছাকৃত ভাবে কখন হত্যার সাথে জড়িত নয়। তিনি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সকল হত্যা মামলা প্রত্যহারের দাবী জানান। এবং আমৃত্যু শ্রমিকদের পক্ষে কাজ করার আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।

শেয়ার করুন