বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে, কর্মি হয়েই কাজ হয়ে কাজ যেতে চাই -নাজনিন আক্তার রুমি

জামালপুর প্রতিনিধিঃ

বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের সফল রাষ্ট নায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণায় দেশে আজ পুরুষের পাশা-পাশি সমহারে নারী নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়েছে। নারীরা আজ পরিবারের পাশাপাশি দেশ ও সমাজের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন দপ্তের চাকরি থেকে শুরু করে, রাষ্ট্রের নেতৃত্বসহ রাষ্ট্র পরিচালনায় নারীদের ভুমিকা অপরিসীম।

জামালপুরেও আওয়ামী পরিবারের নারী নেতৃত্বে এখন অনেকেই পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন। স্থানীয় নারী নেতৃত্ব বেশি পাওয়া, আওয়ামী লীগের জন্য একটি বড় পাওয়া বলে মনে করেন অনেকেই । তবে দুঃসময়ের তাদের ভুমিকা কি ছিল, তা জানা থাকাটাও গুরুত্বপূর্ণ। কারন ভুলে গেলে চলবে না, রাজনৈতিক সুযোগ সন্ধানী, কিংবা নিজেদের পাল্লা ভারী করতে এখন তৃণমূলে নারী কর্মির অভাব নেই।

তরুন নেতৃত্ব গঠনে প্রধানমন্ত্রীর আইটি সেকশনে বিশেষ সুবিধা দেওয়ায় ফেসবুকের কল্যাণে, আজ অনেকেই গজিয়ে গেছেন বড় বড় নেতা-নেত্রী হিসেবে। যারা দলের প্রয়োজনে স্থানীয় নেতাদের সাথে নিয়ে জীবনের শুরু থেকেই তৃণমূলে কাজ করেছেন, তাদের মূল্যায়নে নেই সঠিক সমীকরণ। দিন দিন তারা বৃক্ষ নয়, গাছের পাতাতে পরিনত হচ্ছেন।

জামালপুর জেলা নারী নেতৃত্বে তিল তিল করে বেড়ে উঠা তৃণমূলের কর্মি নাজনীন আক্তার রুমি। পরিবারের সকল বাঁধা পেরিয়ে একনিষ্ঠতা রাজনৈতিক কর্মি হিসাবে দলের প্রয়োজনে কাজ করতে কখনো পিছুপা হননি তিনি। সকল প্রতিকুলতার মাঝেও মাঠের কর্মি হিসেবে স্বক্রিয় ছিলেন সব সময়। তৎকালিন ১৯৯৮-৯৯ সাথে সুশান্ত-উজ্জল-লাবলু পরিষদের ব্যানারে জামালপুর আশেক মাহামুদ কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে একনিষ্ঠ মাঠের কর্মী হিসাবে সকল মিছিল, মিটিংএ রাজপথে শ্লোগানে শ্লোগানে দলীয় নেতাদের সাথে কাজ করেছেন এ নেত্রী। সেই সময় দেশ মিডিয়ার কল্যানে দাপিয়ে বেড়ানো নেত্রীদের বড় অভাব ছিল।

স্থানীয় ভাবে সকল প্রোগামে অংশগ্রহণসহ সরোয়ার হোসেন শান্ত, দিলিপ, আইনাল হকদের নির্দেশে মাঠের কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। সিংজানি হাই স্কুলে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে বঙ্গবন্ধু আদর্শের কর্মী হিসেবে দীর্ঘ দিন যাবত দলীয় এজেন্ট হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি দীর্ঘ সময় সাইদা আক্তারের নেতৃত্বে শহর যুব-মহিলা লীগের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরর্বতীতে তার নেতৃত্বে সাহসীকতা এবং দূরদর্শিতায় কারনে শহর যুব-মহিলা লীগের যুগ্ন-আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৬ সালে জেলা যুব-মহিলা লীগের কমিটিতে ফারজানা ইয়াজমিন লিটাকে সভাপতি করে, নাজনীন আক্তার রুমিকে যুগ্ন-আহবায়ক করা হয়।

সেই থেকে ফারজানা ইয়াজমিন লিটার নেতৃত্বে সদরের ১৫ টি ইউনিয়নে যুব-মহিলা লীগকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করতে কমিটি গঠন করা হয়।

পরর্বতীতে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে নারী নেতৃত্বে আরো এগিয়ে নিতে, জামালপুরের মাটি মানুষের নেতা সাবেক পাঠ ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্ৰী মির্জা আজম এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী নির্দেশে জামালপুরের ৭ টি উপজেলায় যুব-মহিলা লীগের কমিটি গঠন করা হয়।

জেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা ইয়াজমিন লিটাকে সাথে নিয়ে যুব-মহিলা লীগকে শক্তিশালী করণে কাজ করে যাচ্ছেন নাজনীন আক্তার রুমি।

সম্প্ৰতি জাতীয় নির্বাচনেও সদরের বিভিন্ন ওয়ার্ড সহ সিংজানী হাই স্কুল কেন্দ্রে দলীয় নির্দেশে কাজ করেছেন তিনি। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু আদর্শ বুকে ধারন করে তৃণমূলের কর্মিদের সাথে নিয়ে আমৃত্যু দলীয় ও দেশের কল্যাণে কাজ করে যাব। তিনি জেলা যুব-মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে সকলের দোঁয়া ও সহযোগীতা কামনা করেন।

জানা যায়, নাজনীন আক্তার রুমীর স্বামী সাবেক ছাত্র নেতা বোরহান উদ্দিন আহাম্মেদ ছোটন এবং রুমি জম্মসূত্রে কাচারীপাড়ার বাসিন্দা।

১৯৯৫ সালে জাতীয় শিশু একাডেমী থেকে উচ্চ লম্পে সারা বাংলার প্রথম স্থান অর্জন করে জামালপুরের হয়ে গোল্ড মেডেল ছিনিয়ে আনেন রুমি। সেই সাথে তিনি জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থাৱ হ্যান্ডবল, কাবাডি, এসোসিয়েশনের খেলোয়াড় এবং সদস্য কর্মরত দীর্ঘ সময় ধরে।

শেয়ার করুন