- সংবাদ সম্মেলন
স্থান : শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব
কলেজ রোড, শ্রীমঙ্গল
তারিখ : ২১ সেপ্টেম্বর’ ২০১৯
সময় : সকাল ১১:৩০ ঘটিকা - বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম।
- সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ
আস্সালামুআলাইকুম/আদাব। আমি নি¤œস্বাক্ষরকারী মো. মঈনুল ইসলাম, পিতা-মৃত ছলিম উল্লাহ, গ্রাম-রামনগর, ৬নং আশীদ্রোন ইউনিয়ন, উপজেলা-শ্রীমঙ্গল, জেলা-মৌলভীবাজার। আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। গত ১৬ সেপ্টেম্বর আমার এলাকার আব্দুল মালেক ওরফে কালা মিয়া আমি, আমার ভাই মো. কবির মিয়া এবং আমাদের পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে নানা অসত্য, ভিত্তিহীন, কাল্পনিক তথ্য উপস্থাপন করে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। এর সূত্র ধরে পরদিন বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। আমি আমার পরিবারের পক্ষ থেকে এ সংবাদ সম্মেলন ও এর সূত্র ধরে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে প্রকৃত ঘটনাগুলো আপনাদের অবহিত করার লক্ষ্যে আজ আমি আপনাদের দ্বারস্থ হয়েছি।
আব্দুল মালেক ওরফে কালা মিয়া গত ১৬ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দাবি করেছেন আমার ভাই কবির মিয়া একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। প্রশাসনের সাথে তার রয়েছে অবাধ মেলামেশা। আমার ভাই মো. কবির মিয়ার ক্ষমতার দাপটে আব্দুল মালেক ওরফে কালা মিয়া ও তার পুত্র আব্দুল মুহিত কিবরিয়া @ হান্নানকে একের পর এক কল্পিত মামলায় জড়ানো হচ্ছে। এ তথ্য যে কত বড় মিথ্যাচার তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমার ভাই একজন সহজ-সরল গ্রাম্য কৃষক। পুরো শ্রীমঙ্গলতো আপনাদের নখদর্পনে। কবির মিয়া নামের কোন প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম কি আপনারা কোনকালে শুনেছেন? আব্দুল মালেক ওরফে কালা মিয়া সহজ-সরল কবির মিয়াকে বানিয়ে দিয়েছেন প্রভাবশালী ব্যক্তি! প্রকৃতপক্ষে আব্দুল মালেক ওরফে কালা মিয়ার পুরো পরিবার বিশেষ করে তার পুত্র আব্দুল মুহিত কিবরিয়া @ হান্নান মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের একজন তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী ও আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। বিভিন্ন সময়ে জেলার বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে ডাকাতি ও ডাকাতি প্রস্তুতি মামলা হয়েছে। আমার পিতার কাছে আব্দুল মালেক ওরফে কালা মিয়া ৪৫ শতাংশ জমি বিক্রয় করে টাকা গ্রহণ করার পর দীর্ঘদিনে দলিল রেজিষ্ট্রি করে দেয়নি। তবে জমির দখল সমজে দেন। এ নিয়ে এলাকায় অনেকবার বিচার-শালিস হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আব্দুল মালেক ওরফে কালা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হন। বর্তমানে জমির বিষয়টি মৌলভীবাজার যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শান্তিবাগ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা জয়নাল মিয়ার দুইটি গরু চুরি করে আব্দুল মালেক ওরফে কালা মিয়ার পুত্র আব্দুল মুহিত কিবরিয়া @ হান্নান চুরি করে গাড়িতে তুলার পর কাছারি মসজিদের সামনে তাকে চোরাই গরুসহ আটক করা হয়। পরে এ নিয়ে শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী সাহেবের দোকানে শালিস বিচার অনুষ্ঠিত হয়। বিচারে আব্দুল মালেক ওরফে কালা মিয়াকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। - মান্যবর সাংবাদিকবৃন্দ,
- আব্দুল মালেক ওরফে কালা মিয়ার পুত্র আব্দুল মুহিত কিবরিয়ার মূল পেশাই চুরি, ডাকাতি, সন্ত্রাসী। যা আপনারা খোঁজ-খবর নিলে সহজেই আপনাদের কাছে প্রতীয়মাণ হবে। এছাড়া আমাদের ইউনিয়নের সম্মানিত চেয়ারম্যান, মেম্বার, পুরো গ্রামবাসী, শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অবগত আছেন। এ ব্যাপারে আমি আপনাদের সদয় অবগতির জন্য কিছু তথ্য আপনাদের কাছে উপস্থাপন করছি-
(০১) ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭.৩০ ঘটিকায় শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ কালাপুর ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিণ মাইজডিহি (পাঠান পাড়া) গ্রামের জনৈক রাসেল আহমদের বাড়ির সামনে থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে রফিক মিয়া, মো. বাদল মিয়া, জামাল খাঁ ও সাজ্জাদুর রহমানকে আটক করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের কিছু সহযোগি পালিয়ে যায়। পরে ধৃত আসামীদের স্বীকারোক্তিমতে পুলিশ আব্দুল মুহিত কিবরিয়া @ হান্নানকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই মো. রফিকুল ইসলাম ওই বছরের ২৩ আগস্ট মাননীয় আদালতে যে চার্জশীট প্রেরণ করেছেন তাতে ৬নং আসামী হলো ওই আব্দুল মুহিত কিবরিয়া@ হান্নান।
(০২) ২০১৮ সালের ২৫ মে রাত অনুমান সাড়ে ১০টায় কমলগঞ্জ থানার শমসেরনগর চা বাগানস্থ ক্যামেলিয়া হাসপাতালের দক্ষিণ দিকে বাঘীছড়া চা বাগানের প্রবেশের মুখে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে একটি সাদা প্রাইভেট কার, রাম দা, লোহার দা, লোহার রড়, প্লাসসহ শ্রীমঙ্গল উপজেলার খোসবাস গ্রামের সাদ উল্লাহর পুত্র শাহ আলম (৩১), রামনগর গ্রামের আব্দুল মালেক কালা মিয়ার পুত্র আব্দুল মুহিত কিবরিয়া @ হান্নান (২৬), কালাপুর ইউনিয়নের ভাগলপুর গ্রামের শেখ হায়দার আলীর পুত্র শেখ মো. আনোয়ার হোসেন (২৮) কে গ্রেফতার করে।
(০৩) ২০১৮ সালের ৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টায় আশীদ্রোন ইউনিয়নের টিকরিয়া গ্রামের রাস্তার উপর সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন শ্রীমঙ্গল থানা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিছির আলী (৪১) এর উপর সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা করে শাহ আলম, আব্দুল মুহিত কিবরিয়া গংরা। সন্ত্রাসী হামলায় মিছির আলী গুরুতর আহত হন। ৪ দিন তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। ১১ আগস্ট তিনি বাদি হয়ে ৭ জনকে আসামী করে শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা দায়ের করেন।
(০৪) ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত ১.৪০ ঘটিকার সময় শ্রীমঙ্গল উপজেলার জেটি রোডস্থ শশ্মানঘাট সংলগ্ন স্থানে ডাকাতি করার প্রস্তুতিকালে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ডাকাতি করার মামলামালসহ হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার কাছিশাইল গ্রামের আব্দুল মোতালিবের পুত্র শিবলু মিয়া, শ্রীমঙ্গল উপজেলার রামনগর গ্রামের আব্দুল মালেক কালা মিয়ার পুত্র আব্দুল মুহিত কিবরিয়া ওরফে হান্নান (২৬), একই উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের মাইজদিহি পাহাড় গ্রামের আজিদ মিয়ার পুত্র দেলোয়ার মিয়া (২১) কে গ্রেফতার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আরো ১০/১১ জন পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
(০৫) ২০১৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০.৩০ ঘটিকার সময় পুলিশ রামনগর গ্রামের আব্দুল মালেক ওরফে কালা মিয়ার বাড়ির উঠান থেকে ২০ পিস ইয়াবাসহ কুলাউড়া পৌরসভার উত্তর কুলাউড়া এলাকার হৃদয় আহমেদ (২৫) ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার লালবাগ এলাকার মৃত আনোয়ারের পুত্র মাসুম মিয়া (২৭) কে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু যার বাড়ি থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে তাকে অর্থাৎ আব্দুল মালেক ওরফে কালা মিয়াকে অজ্ঞাত কারনে ওই মামলায় আসামী করা হয়নি।
এগুলো ছাড়াও জেলার বিভিন্ন থানায় আব্দুল মুহিত কিবরিয়া @ হান্নান এর বিরুদ্ধে আরো মামলা রয়েছে বলে লোকমুখে জানতে পেরেছি। এসব মামলার তথ্য আমার কাছে নেই। আপনারা খোঁজ নিলেই হয়তো আব্দুল মুহিত কিবরিয়া ওরফে হান্নান ডাকাতের আরো অপকর্মের প্রমাণ পাবেন। - প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ,
- শ্রীমঙ্গল উপজেলার রামনগর মৌজার এসএ খতিয়ান নং-২৭৩, আরএস খতিয়ান নং-৩৫০, এসএ দাগ নং-১৭৮, আরএস দাগ নং-৩৯৬, সাইল রকম ৪৫ শতক জমি আমাদের পিতা ছলিম উল্লাহ, আব্দুস সোবহান এবং আব্দুর রহিমের মৌখিক খরিদা সত্ত্বে দখলীয় ভূমি। এ ভূমিসহ অপরাপর ভূমির মূল মালিক ছিলেন রেমান উল্ল্যা। বর্ণিত দাগের ভূমিটি তার পুত্র ছিদ্দিক মিয়ার স্ত্রী জয়গুন বিবিকে বিয়ের সময় মোহরানা বাবদ প্রদান করেন। তিনি মৃত্যুবরণ করার পর ভূমিটি উত্তরাধিকারী সূত্রে ভূমিটির মালিক-দখলদার হন তার ২ পুত্র ও ১ কন্যা। পরে ভাগবাটোয়ারা মূলে জমিটির মালিক বিদ্যমান আব্দুল মালেক ওরফে কালা মিয়া আর্থিক কারণে জমিটি বিক্রি করার উদ্যোগ নিলে আমার পিতা ছলিম উল্লাহ, চাচাতো ভাই আব্দুস সোবহান এবং চাচাতো ভাই আব্দুর রহিম ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্য সাব্যস্থক্রমে ওই জমিটি ক্রয় করেন। পুরো টাকা গ্রহণ করে ২০০৩ সালের ২৬ এপ্রিল আব্দুল মালেক ওরফে কালা মিয়া জমিটি আমার পিতা ছলিম উল্লাহ, চাচাতো ভাই আব্দুস সোবহান এবং চাচাতো ভাই আব্দুর রহিমকে দখল সমজাইয়া দেন। পরে দলিল সম্পাদন করে দেবার কথা থাকলেও দেই দিচ্ছি করে আব্দুল মালেক ওরফে কালা মিয়া দলিল সম্পাদনে ঘুরাতে থাকেন। যা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সকলেই জ্ঞাত আছেন। জমিটির দখলস্বত্ত্ব ছলিম উল্লাহ, আব্দুস সোবহান এবং আব্দুর রহিমের পরবর্তী বংশধরদের হলেও এবং স্বত্ত্ব দখলের কোন সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও আব্দুল মালেক ওরফে কালা মিয়া জমিটি দখলে নিতে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। জমিটির মালিকানা পারওয়ার দাবি জানিয়ে ছলিম উল্লাহ, আব্দুস সোবহান এবং আব্দুর রহিমের পরবর্তী বংশধরদের পক্ষ হতে আমিসহ ১৭জন বাদি হয়ে মৌলভীবাজার যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি স্বত্ত্ব মামলা দায়ের করি। মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর পূর্বে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ওই বর্ণিত জমিটির কোনরূপ দখল না থাকা সত্ত্বেও আব্দুল মালেক ওরফে কালা মিয়া জমিটি তার দখলে রয়েছে দাবি করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত মৌলভীবাজারে একটি পিটিশিন মামলা দায়ের করেন। পিটিশন নং-২৬/২০১৯ইং। ওই মামলায় বিজ্ঞ আদালত ৩ মার্চ রায় প্রদান করেন। রায়ে মাননীয় আদালত উল্লেখ করেন বর্ণিত ভূমিটি বাদির দখলে নেই এবং ২য় পক্ষগণের দখলে রয়েছে। ফলে মামলাটি মাননীয় আদালত খারিজ করে দেন। পরবর্তীতে আমাদের স্বত্ত্ব মামলার পর আব্দুল মালেক ওরফে কালা মিয়া বাদি হয়ে সহকারী জজ আদালতে নিষেধাজ্ঞা মামলা দায়ের করেন। যার নং-৪০/২০১৯ইং। এ জমি নিয়ে আব্দুল মালেক ওরফে কালা মিয়া আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং তার অপরাধী পুত্রকে রক্ষার হীন চেষ্টায় ডাকাতি করতে গিয়ে পুলিশের অভিযানে হাতে নাতে গ্রেফতার হলেও আমার ভাই ও আমাদের উপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা করে এ সংবাদ সম্মেলনের অবতারণা করেছে। তিনি মিথ্যে ও ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করে ‘উদোর পি-ি বুধোর ঘাড়ে চাপানো’র অপচেষ্টা করেছেন।
- সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ,
- আমিসহ ১৭জন বাদি হয়ে মৌলভীবাজার যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করার পর আব্দুল মালেক ওরফে কালা মিয়া ব্র্যাকের মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কর্মসূচিতে লিখিত আবেদন করেন। পরে ওই কর্মসূচির এইচআরএলএস অফিসার মো. আব্দুল মোতালেব স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ (অভিযোগ নং-১৪/১৯) আমাকে প্রেরণ করেন। আমি নোটিশ প্রাপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ জানতে ব্র্যাকের সাথে যোগাযোগ করলে তারা আমাকে কোন ধরণের অভিযোগের কপি দিতে অস্বীকার করেন। ফলে আমি বাধ্য হয়ে মাননীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত আবেদন করেছি।
- শ্রদ্ধেয় সাংবাদিকবৃন্দ,
- ২০১৫ সালের ১০ এপ্রিল আমার ভাইয়ের একটি গরু আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রী বদরুন্নেছা বর্গা বা ভাগি নেয়ার প্রস্তাব করেন। আমাদের প্রতিবেশী ও আত্মীয় হওয়ায় আমরা এ গরু বর্গা দিতে সম্মত হই। শর্ত থাকে যে এ গাভী ১ম বাচ্চা দেবার পর বর্গাদার অর্ধেক ও আমার ভাই কবির মিয়া অর্ধেক অংশের মালিক হবেন। ২য় বাচ্চা দেবার পর গাভীর ফেরত দেবেন বর্গাদাররা। প্রায় দুই বছর পূর্বে উক্ত গাভীটি একটি বাচ্চা দেয়। বাচ্চাটির বয়স ৭ মাস হবার পর আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রী বদরুন্নেছা বাচ্চাটি আমাদের এলাকার জনৈক জমসেদ মিয়ার নিকট ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। খবর পেয়ে আমার ভাই কবির মিয়া চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি কয়েকজন সাক্ষিসহ গাভীটি ফেরত আনতে গেলে আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রী বদরুন্নেছা গাভীটি ফেরত দিতে অস্বীকার করেন এবং আমার ভাইকে এ বিষয়ে কথা বললে প্রাণে হত্যার হুমকি দেন। পরে এ নিয়ে আশীদ্রোন ইউনিয়ন পরিষদে বিচার-শালিস হয়। বিচারের রায়ে মাননীয় চেয়ারম্যানের রায় হলো বর্গা দেওয়ার সময় কোন সাক্ষ্য না থাকলেও বিবাদী পক্ষের জবানবন্দি ও সাক্ষিদের সাক্ষ্য গাভীটি বর্গা বিষয় প্রমাণিত। ফলে গাভীটির বাচ্চা প্রসবের পর স্থানীয় মেম্বার আরজু মিয়ার মাধ্যমে গাভীটি বাজারে বিক্রি করে ৫০ শতাংশ করে উভয় পক্ষ নেবেন। তবে ইতোপূর্বে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে গাভীটির প্রথম বাচ্চা তার ভায়রা জমসেদ মিয়ার নিকট বিক্রি করলে আমরা এর প্রতিবাদ করি। পরবর্তীকালে আমার ভাই কবির মিয়া বাদি হয়ে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়্যাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, ২নং আমলী আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করলে আদালতের নির্দেশে শ্রীমঙ্গল থানার এসআই হাফিজুর রহমান তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীমঙ্গল থানার এসআই হাফিজুর রহমান পিটিশন মামলার বিবাদী আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রী বদরুন্নেছার বিরুদ্ধে পেনাল কোড এর ৪০৬/৪২০/৫০৬ (০২)/৩৪ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আব্দুল মালেক ওরফে কালা মিয়া তার আইনজীবির মাধ্যমে ওই গাভীটি বর্গা নেওয়া বা ক্রয় করার বিষয়টি অস্বীকার করেন। অথচ সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন গাভীটি তিনি ১০ হাজার টাকায় ক্রয় করেছেন। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
- মান্যবর সাংবাদিকবৃন্দ,
- আব্দুল মালেক ওরফে কালা মিয়া বাদি হয়ে চলতি বছরের ১৪ জুলাই তার বাড়িঘরে হামলা-লুটপাট, তার পুত্রবধুকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ এনে মৌলভীবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়্যাল মেজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মিথ্যা পিটিশন মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য অফিসার ইনচার্জ শ্রীমঙ্গল থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় আদালত।
২২ জুলাই আমিসহ ৭ জনকে আসামী করে মৌলভীবাজার নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্য বিধির ১০৭/১১৪/১১৭ (সি) ধারায় একটি কাল্পনিক মামলা দায়ের করেন। ওই পিটিশন মামলায় তিনি যে দাবি করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বর্তমানে মামলাটি মাননীয় আদালতে চলমান রয়েছে।
অপরদিকে আমি নিজে বাদি হয়ে গত ২৫ আগস্ট ২০১৯ইং তারিখে আমাদের সমূদয় বিষয়াদি উল্লেখ করে এবং আব্দুল মালেক ওরফে কালা বাদি হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করে হয়রানীর প্রতিকার চেয়ে মৌলভীবাজারের মাননীয় পুলিশ সুপার বরাবরে একটি আবেদন করি। মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয় বিষয়টি তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ সার্কেল) মহোদয়কে দায়িত্ব প্রদান করেছেন। - সুপ্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ,
- গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং তারিখ দুপুর অনুমান ২ ঘটিকার সময় শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ একাধিক ডাকাতি মামলার আসামী আব্দুল মুহিত ওরফে কিবরিয়া ওরফে হান্নান ডাকাতকে গ্রেফতার করতে তার বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানের সময় সে পালিয়ে যায়। পুলিশ জানায় তার নামে ওয়ারেন্ট রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ ফিরে যাবার পর দুপুর ২.৩০ ঘটিকার সময় আব্দুল মুহিত ওরফে কিবরিয়া ওরফে হান্নান ডাকাতের নেতৃত্বে তার পিতা আব্দুল মালেক, ভাই রাফসান মিয়া, বোন মালেকা বেগম সুমি কোন কারণ ছাড়াই রাম দা, দা, বটিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা আমাদের বাড়ির বেড়া ও দরজা-জানালা কুপিয়ে ক্ষতিসাধন করে। আমাদের পরিবারের লোকজন দরজা বন্ধ করে ঘরে আত্মরক্ষা করি। আমাদের আত্মচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে বিবাদীরা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে আমার ভাই কবির মিয়া বাদি হয়ে ওইদিনই শ্রীমঙ্গল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
- মান্যবর সাংবাদিকবৃন্দ,
- আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য আব্দুল মুহিত ওরফে কিবরিয়া ওরফে হান্নান ডাকাত, তার পিতা আব্দুল মালেক ওরফে কালা মিয়ার হুমকিÑধামকির কারণে বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন যাপন করছি। সে কোন সময় আমাদের প্রাণে হত্যা করা হতে পারে বলে আমরা আতঙ্কিত। আমরা আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা বিধানের দাবি জানাচ্ছি।
- উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে আব্দুল মালেক ওরফে কালা মিয়া তার পিতা সিদ্দেক মিয়াকে আত্মগোপনে রেখে আমার পিতা মৃত ছলিম উল্লা, চাচা মৃত হেলিম উল্লা, মামা মৃত জামাল মিয়া, বোন জামাই মৃত আছকির মিয়া, চাচাতো ভাই আব্দুর রহিমকে আসামী করে ৩৬৪/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-জিআর : ৯৬/৮৪। ওই মামলায় সাক্ষি দেন আব্দুল মালেক ওরফে কালা মিয়া। সে সময়ে তিনি আলাউদ্দিন নামে পরিচিত ছিলেন এবং এ নামই ব্যবহার করতেন। এ মামলায় আমার পিতা, চাচা, মামা সহ সবাই কারাবাস করেন। প্রায় সাড়ে তিনমাস পর আত্মগোপনে থাকা সিদ্দেক মিয়া মাননীয় আদালতে এসে নিজেই আত্মগোপনে ছিলেন বলে স্বীকার করে আদালতে মুছলেকা দেন। তবে আমার পিতাসহ সবাই সে সময়ে দন্ডবিধির ২১১ ধারায় মামলা না করে আদালতের সম্মুখেই তাদের ক্ষমা করে দেন। আব্দুল মালেক ওরফে কালা মিয়া মিথ্যার আশ্রয় নিয়া আমাদের বিরুদ্ধে একরে পর এক মিথ্যা মামলা করিয়া এবং প্রাণ নাশের হুমকী দিতেছে। যাহার কারণে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তহীন অবস্থায় আছি।
-
(মো. মঈনুল ইসলাম)
০১৭৭০০৫৫৫৬৯
সংবাদ সম্মেলন
শেয়ার করুন