কিছু অভিজ্ঞতা (বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা)

সিপার আহমেদঃ

ছবিগুলো কোনও মেলা বা পার্কের নয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে নেয়া। অভিভাবকরা ক্লান্তি দুশ্চিন্তা আর হতাশা নিয়েই রাস্তায়, মাঠে, গাছতলায় বসে আছেন। ভেতরে ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছে তাদের সন্তানেরা। এটা একটা অমানবিক দৃশ্য! বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কবে যে মানবিক হবে বুঝে উঠতে পারছি না। কি প্রয়োজন ছিল লক্ষ লক্ষ মানুষকে কষ্ট দেয়া। শুধু জাহাঙ্গীরনগর নয়, সব গুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের একই চিত্র।

এই বৎসর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ১ম বর্ষ অনার্স ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন গ্রহন করেছে চার লাখ। অথচ আসন সংখ্যা মাত্র দুই হাজার। আমি নিশ্চিন্তে বলতে পারি এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা হাতিয়ে নেয়ার একটা ধান্ধা.. জুয়াড়ীদের মতো।

২০০০ অাসনের জন্য প্রাথমিক বাছাই করে বিশ হাজার, না হয় পঞ্চাশ হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেয়া যেত। বাকীদের টাকা ফেরত। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সিস্টেমটা আছে। চার লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবককে যন্ত্রণা দেয়ার কোন মানেই হয় না।
আবেদন থেকে শুরু করে ঢাকা আসা-যাওয়া, থাকা-খাওয়া বাবত একজন অভিভাবকের কমপক্ষে পাঁচ/ছয় হাজার টাকা খরছ হয়। সবাই তো আর সচ্ছল নয়। কিন্তু সন্তানের মুখের দিকে তাঁকিয়ে মা-বাবা এ কষ্ট টুকু মেনে নেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব নিয়ে কখনো ভাবে না। তারা তাদের জুয়া নিয়েই ব্যস্ত। ভাবটা এরকম… থাকো ২০০০, বাকীরা টাকা দিয়ে চলে যাও।

সম্রাট, শামীম, লোকমান, খালেদদের জুয়াখেলার সাথে এটার কোন ব্যবধান নেই, ব্যবধান শুধু প্লাটফর্মের।
এটা ক্যাসিনোর চেয়েও ভয়ংকর।

শেয়ার করুন