ডা: এম. এম. শামছঃ
ডায়াবেটিস ও চক্ষুরোগঃ যে সকল সুস্থ সবল স্বাভাবিক মানুষ চোখ রোগের কারনে অন্ধত্যবরন করেন, তাদের প্রায় ২০-২৫ ভাগ রোগীই ডায়াবেটিস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকেন। ৩০ বছর বয়সের পর রোটিন চেকআপ করানোর প্রচলন আমাদের দেশে খুব একটা গুরুত্ব দিয়ে করা হয় না, যার ফলে অধিকাংশ রোগীই জানে না তিনি যে ডায়াবেটিস এ ভুগছেন। ডায়াবেটিস রোগ শুরু হওয়ার সময় থেকে ১০ বছর এর মধ্যেই চোখের অসুবিধা দেখা দেয় দৃষ্টি শক্তির অনেক পরির্বতন ঘটে। অবহেলা করে অনেকেই এর প্রতি কোন গুরুত্ব দেন না অথচ অন্ধ্যত্যের অন্যতম প্রধান কারন হল ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস হলে চোখের রেটিনা নামক অংশটি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হতে থাকে যার ক্রমধারা গুলো হলো – ১। নন-প্রলিকারেটিভ বেকগ্রাউন্ড রেটনাপ্যাথি উথঅাউট মেকুলোপ্যাথি ২। ম্যাকুলাপ্যাথি ৩। প্রি-প্রলিকারেটিভ রেটিনোপ্যাথি ৪। প্রলি ফারোটিভ রেটিনোপ্যাথি। সব কথার শেষ কথা রোগীর চোখ দেখার ক্ষমতা লোপ পায়। যদি সিমপল বেকগ্রাউন্ড রেটিনোপ্যাথি হয় তবে কোন চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না তবে প্রি-প্রলিফারেটিভ, প্রলিফারেটিভ এবং মেকুলোপ্যাথিক রেটিনোপ্যাথি হয় তহলে রেটিনাল লেজার ফটোকয়াগোলেশন নামক চিকিৎসা নিতে হয়। আর যদি ভিট্রিযাস এ রক্তক্ষরন জনীত কবলে দৃষ্টি শক্তি লোপ পায় তবে ভিট্রিকটমি নামক অপারেশন করতে হয় তা না হলে রোগী চির দিনের মত অন্ধত্য লাভ করে। তাই ডায়াবেটিস যাদের আছে তাদের খুব নিয়মিতান্ত্রিক দৈনন্দিন জীবনাচরনে অভ্যস্থ হয়ে ডায়াবেটিস নিয়নন্ত্রে রাখতে হবে অন্য থায় চিরদিনের মতো অন্ধত্বের শিকার হতে হবে।
ডায়াবেটিস ও স্নায়ুরোগঃ প্রায় ৩০ ভাগ ডায়াবেটিস রোগী খুব তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস স্নায়ুরোগে আক্রান্ত হন। পায়ের পাতায় অবস অবস ভাব, ব্যাথা করা ,জ্বলা পুড়া করা, ক্ষত হওয়া ,পায়ের মাংশপেশী শোকিয়ে যাওয়া এরই সাথে পায়ের টেনডন রিক্সেক কমে যাওয়া, কম্পন অনুভূতি লোপ পাওয়া, হাতে কারপাল টানেল সিনড্রম ও পায়ে ফুট ড্রম হওয়া, দাঁড়ানো বাসা শুয়ে থাকা অবস্থায় তিন রকমের রক্তচাপ পাওয়া যা পশচারাল হাইপোটেনশন নামে পরিচিত; র্যালেটিভ টেকিকারডিয়া বা স্বাভাবিক অবস্থায় নাড়ীর গতি ১০০ বিট এর বেশী পাওয়া, খাবার গিলতে গেলে গলায় ব্যাথা অনুভব করা, পেট ভরা ভরা অনুভব করা, বমি বমি ভাব অনেক ক্ষেত্রে বমি হওয়া, রাতে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া, পায়খানার বেগ আসার কারনে এর সাথে পাতলা পায়খানা হওয়া অথবা অপূর্ন পায়খানা হওয়া। প্রস্রাবের চাপ থাকা স্বত্তেও প্রস্রাব শুরু হতে দেরী হওয়া, বার বার প্রস্রাবে বেগ পাওয়া, প্রস্রাবে ইনপেকশন হওয়া, পুরুষত্ব লোপ পাওয়া বা বন্ধাত্য, খাওয়ার সময় শরীরে ঘাম হওয়া, পৃাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়া ছাড়ায় রাতে শরীরে ঘাম হওয়া, মুখ শুকন শুকন ভাব পায়ের চামড়া ফাটা, পায়ের পাতা ঠান্ডা হওয়া এবং লাইট রিফ্লাক্স নষ্ট হয়ে যাওয়া বা দেরিতে হওয়া, যদি এ লক্ষন দেখা তবে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য কঠোর ভাবে আত্ম নিয়োগ করা।
ডায়াবেটিস ও কিডনীরোগঃ ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকলে কিডনী রোগ হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ১৭ গুন বেশী। যে সকল রোগের কারনে কিডনী নষ্ট বা বিকল হয়ে যায় ডায়াবেটিস তাদের মাঝে অন্যতম প্রধান একটি রোগ। দীর্ঘ দিন থেকে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস কিডনী বিকল করে দেয়। তিনটি ধাপে ডায়াবেটিস রোগীর কিডনী বিকল বা নষ্ট হয় প্রথমে গ্লমেরুলার ডেমেজ হয় এরপর ইসচেমিয়া হয় এবং তারপর এসেনডিং ইনকেকশন। কিভাবে বুঝবেন ?- শরীরর ফোলে যাওয়া – প্রস্রাবে প্রোটিন পাওয়া – শরীরে পানি জমে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ, প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া। কি করবেন? – কিছুই করার নেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখতেই হবে তারপর ও যদি হয়ে যায় তখন কি করবেন বসে বসে আল্লাহর নাম ডাকবেন কারন চিকিৎসা সাস্ত্রের অনেক উন্নতি হলেও ডায়াবেটিক নেক্রপেথি হয়ে গেলে তা কমিয়ে আনার কোন উপায় এখন ও আবিস্কার হয় নি। তবে চিকৎসা সাস্ত্রে কিডনী বিকল হওয়ার গতিটা কিছু কমিয়ে অনতে পারে কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ করতে পারে না। যদি উচ্চ রক্তচাপ থাকে তবে প্রটিন জাতীয় খাবার (৪০ – ৬০ গ্রাম /দিন) কম পরিমানে খেতে হবে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনের জন্য ACE inhibitor ও লোপ ডায়াবেটিসক জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করতে হবে। আর যদি কিডনী বিকল হয়েই যায় মানে সিরাম ক্রিয়েনিন যদি ২০০ মিলিমোল পার লিটারের হয়ে যায় তবে সাথে সাথে কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞ নেকফ্রোলজিষ্টর এর পরামর্শ নিতে হবে। আর সিরাম ক্রিয়েটিনিন যদি ৪৫০ মিলিমোল পার লিটারের বেশী হয়ে যায় তবে ডায়াবেটিস বা কিডনী ট্রাস্নপ্লাণ্ট করার প্রস্তুতিমুলক ডায়ালাইসিস নিতে হবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী।
ডায়াবেটিস ও পায়ের ক্ষতরোগঃ যাদের ডায়াবেটিস নিউরোপ্যাথি হয়ে গেছে তারা খুব ঘন ঘন পায়ের পাতায় ক্ষত রোগে আক্রান্ত হন। কারন হল নিউরোপ্যাথি হওয়া পায়ের অনুভূতি ক্ষমতা লোপ পায় তাই পায়ে কোন আঘাত লাগলে বা ক্ষত হলে রোগী সহজে বুঝতে পারেন না ফলে ক্ষতস্থানে ইনফেকশন হয় আর পায়ের চিস্যু পচে যায় খুব দ্রুত। তার কারন ১। নিউরোপ্যাথি ২। ইনফেকশন আর ৩। রক্ত চলাচল কমে যাওয়া বা ইসচেমিয়া। কিভাবে বুঝবেন? – প্রাথমিক ভাবে যদি নিউরোপ্যাথি হয় তবে পায়ের পাতায় হাত দিলে কিছুটা গরম অনুভূত হবে, পায়ের রক্তনালীর বা নাড়ীর গতি কখনো পাওয়া যাবে কখনো পাওয়া যাবে না, অনুভূতি লোপ পাবে, চামড়া পিংক বা রক্রবর্ন ধারন করবে, পা দেখতে শুকনো শুকনো মনে হবে ,স্বাভাবিক চামড়ার যে মসৃনতা আছে তা লোপ পাবে, কেলাস তৈরি হবে চামড়ার ক্ষসে যাবে, ব্যাথা বিহীন ক্ষত তৈরি হবে ,ক্ষত স্থানের চামড়া আর স্বাভাবিক চামড়ার মাঝখানে একটি কালো লাইন বা দাগ কাটা থাকবে আঙ্গুল পচা শুরু হবে (ডিজিটাল গ্যানগ্রিন পায়ের ইন্টারোসিয়াস মাসুল নামক অংশ শোকাতে থাকবে এবং পা কিছুটা ফোলা থাকবে। আর প্রাথমিক ভাবে যদি রক্ত চলাচল কমে যায় তবে – পায়ের পাতা হাত দিয়ে ঠান্ডা অনুভূত হবে পায়ের রক্তনালীর নাড়ীর গতি পাওয়া যাবে না, পায়ের অনুভূতি ঠিক থাকবে, পায়ে আলসার বা ক্ষত হয়ে তাতে ভাল ব্যাথা অনুভব হবে, পায়ে পচন ধরবে (গ্যানগীন হবে)। যদি ডায়াবেটিক ফুট হয়েই যায় কি করবেন ?- খুব যত্ন সহকারে কঠোর ভাবে ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রন করতে হবে, পায়ের যত্ন নিতে হবে। বিশেষ্ণ ভাস্কুলার স্বার্জনের পরামর্শ মোতাবেক পায়ের এনজিওগ্রাম করে রক্ত নালীর রিকন্সট্রাকশণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। সতর্ক সাবধান নিয়মিত নিয়মতান্ত্রিক গোছানো জীবন যাপনে অভ্যস্থ হতে পরলে ডায়াবেটিস থাকা স্বত্তেও – এ সকল অসুবিধা থেকে দুরে থাকা সম্ভব (চিরপডিষ্ট বা পা রোগ বিশেষ্ণ এখনো এমাদের দেশে তৈরি হয়নি। উন্নতবিশ্বে থেকে আমরা স্বাস্থ খাতের দিকে অনেক পিছিয়ে)
ডায়াবেটিস ও গর্ভধারনঃ যদি কারও ডায়াবেটিস থাকে এবং গর্ভধারন করতে চায় তবে অবশ্যই বিশেষ্ণ ডাক্তাবের সরনাপন্ন হতে হবে। পরিকল্পনামতো গর্ভধারনের পূর্বে ও পরে এবং গর্ভকালীন সময়ে খুব সতর্ক ও সাবধানে ডাক্তারের পরামর্শ মত চলতে হবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখার উপায়
১। খাদ্য পরিকল্পনা ২। ব্যায়াম ৩। ডাক্তারের পরামর্শমত মুখে খাওয়ার ঔষধ ৪। ডাক্তারের পরামর্শমত ইনসুলিন এর সমন্বয় ৬। সবচেয়ে জরুরী রোগ সমন্ধে রোগী ও রোগীর পরিচর্যাকারী পরিবারবর্গকে জানানো – প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন। এগুলোর কোন একটিতে ঘাটতি হলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে আনা বা রাখা খুবই কঠিন। নিচে পর্যয়ক্রমে তা আলোচনা করা হল – ১। খাদ্য পরিকল্পনা – শুরুমাত্র খাদ্য পরিকল্পনার দ্বারা ৪০ ভাগের ও বেশী রোগীর সম্পূর্ন রোগ নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব যদি তা হয় টাইপ-টু ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন অনির্ভর ডায়াবেটিস। বাকিদের খাবার ঔষধ বা ইনসুলিন অথবা এই দুয়ের সমন্বয় করে চিকিৎসা করতে হয়। খাদ্য পরিকল্পনা করার পূর্বে ক্যালরী কি তা জানা প্রযোজন। ১ গ্রাম পানির উচ্চতা ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস বাড়াতে যে পরিমান তাপের প্রয়োজন হয় তাকে ১ কিলোক্যালরী বলে। কত ক্যালরী খাদ্যের প্রয়োজন তা জানাটাও জরুরী। আর তা জানার জন্য শরীরের কাঙ্গিত ওজন কত তা জানতে হবে। কাঙ্ক্ষিত ওজন ২ ভাবে নির্নয় করা যায় যথা ১। আমেরিকান ডায়াবেটিক সমিতির বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি পূরুষ, প্রতি ৫ ফূট উচ্চতার যোগ করতে হয় ১০৬ পাউন্ড এরপর প্রতি ইঞ্চি উচ্চতার জন্য ৬ পাউন্ড করে যোগ করতে হয়। বুঝা গেল না ব্যপারটা ঠিক না। ধরেন একজনের উচ্চতা হল ৫ ফুট ইঞ্চি তাহলে ৫ ফুটের জন্য ১০৬ পাউন্ড আর পরবর্তী ৬ ইঞ্চির জন্য ৬x৬ = ৩৬ পাউন্ড অর্থ্যাৎ ৫ ফুট ৬ ইঞ্চির জন্য ওজন হওয়া উচিত ১০৬ + ৩৬ = ১৪২ পাউন্ড। ঠিক একই রকম ভাবে মহিলা, ৫ ফুট উচ্চতায় জন্য ১০০ পাউন্ড এবং পরবর্তী প্রতি ইঞ্চি জন্য ৫ পাউন্ড করে যোগ করতে হবে। ৫ ফুট ২ ইঞ্চি মহিলার ক্ষেত্রে ৫ ফুট এর জন্য ১০০ পাউন্ড পরবর্তী ২ ইঞ্চি জন্য ২x৫ = ১০ পাউন্ড মোট ১০০+১০ = ১১০ পাউন্ড। একই বয়সে সবার গঠন যেহেতুএক নয় তাই পাতলাদের ক্ষেত্রে ১০ ভাগ যোগ করতে হয় আর ভরীদের ক্ষেত্রে ১০ ভাগ বিয়োগ করতে হয়। ২য় উপায়টি হল ২। বিএম আই দিয়ে বাঙ্গত উজন নির্নয় – এ পদ্ধতিতে শরীর ওজনকে কিলোগ্রাম এবং উচ্চতাকে মিটারে নিতে হয়। এরপর ওজনকে (মিটার x মিটার) বা বর্গমিটার দিয়ে ভাগ করলেই বিএম আই পাওয়া যায়। পূরুষের বেলায় এটি ২২.১ আদর্শ আর মহিলাদের বেলায় ২০.৬ আদর্শ। এর দ্বারা উচ্চতার বর্গমিটার দ্বারা গুন করলে আদর্শ ওজন পাওয়া যায়। ধরেন ১ জন পুরুষের উচ্চতা ১.৬৫ মিটার তার আদর্শ ওজন হল (১.৬৫)বর্গ x ২.১১ = ২.৭২২৫ x ২২.১ = ৬০.১৭ কেজি। এক জন মহিলার উচ্চতা ১.৪৫ মিটার তার আদর্শ ওজন হল (১.৪৫)বর্গ x ২০.৬ = ২.১০২৫ x ২০.৬ = ৪৩.৩১১৫ কেজি। এবার বাঞ্চিত ওজনের সাথে হালকা কাজ করলে ৩০ দ্বারা, মাঝারী কাজ করলে ৩৫ দ্বারা এবং ভারী কাজ করলে ৪০ গুন করলেই ক্যালরীর পরিমান পাওয়া যায়। অত কঠিন হিসাব পড়ে নিশ্চিত সবার মাথাটা ভনভন করে ঘুরাচ্ছে ঠিক কিনা? এত জটিল হিসাব না করে আমার মতে সবচেয়ে সহজ উপায় হল যত ইঞ্চি উচ্চতা তত কেজি ওজন হওয়া বাঞ্চনীয় আর এটা মনে রাখাও সহজ। এবার যত ইঞ্চি উচ্চতা তাকে ৩০ দ্বারা গুন করেন।
এবার ক্যালরীর হিসাব করে খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হলে আগে জানতে হবে খাদ্যের সুসমবন্টন কিভাবে হয় শর্করা বা কার্ব-হাইড্রেট ৬০%, আমিষ বা প্রোটিন ভাগ আর চর্বি ২৫ ভাগ।
২। বিয়াম – নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের মাংশপেশীগুলো রক্তের গ্লোকজ ব্যাবহার করে রক্তের গ্লুকোজের পরিমান কমিয়ে দেয়। সপ্তাহে ১৫০ মিনিট ব্যায়াম করা আবশক। প্রতিদিন ২০-২২ মিনিট এমন ভাবে হাঁটা যাতে শরীর থেকে ঘাম ঝরতে থাকে আর এটাই আদর্শ উপায় কারন সবার ক্ষেত্রে সাইকেল চালানো বা সাঁতার কাঁটা সম্ভব নয়।
৩। ডাক্তারের পরামর্শ মত ঔষধ শেবন প্রয়োজনে ইনসুলিন নেয়া।
৪। রোগ সম্ভন্ধে রোগী ও তার পরিবাকে প্রশিক্ষন দেয়া।
৫। জীবনযাত্রার ধারাপারিবর্তন – চিনি, মিষ্টি খাবেন না, পর্যাপ্ত পরিমানে শাক-সবজি, প্রতিদিন অত্যন্ত ১ টি ফল, সীমিত চর্বি তেল জাতীয় খাবার গ্রহনে অভ্যস্থ হতে হবে। সকাল ৮ টা দুপুর ২ টা রাত ৮ টায় মুল খাবার গ্রহন করায় অভ্যস্থ হতে হবে এবং সকাল ১১ টায় বিকাল ৫ টায় ও রাত ১১ টায় নাস্তা করায় অভ্যস্ত হতে হবে। এক্ষেত্রে পরিবারের লোক জনের ও পরিচর্যাকারীর সাহায্য একান্ত জরুরী। গাড়ি বা মটরজান বা রিক্সা ব্যবহার না করে পায়ে হেটে চলায় অভ্যস্ত হতে হবে। ৩ তলা পর্যন্ত উঠা বা নামায় লিফট না ব্যবহার করায় অভ্যস্ত হতে হবে। চেয়ার বসে কাজ করায় অভ্যস্ত হলে অন্তত প্রতি ঘন্টায় ১ বার ৫ মিনিটের জন্য চেয়ার ছেড়ে একটূ হাটাহাটি করতে হবে। বাচ্চাদের সাথে খেলায় মন্ত থাকুন। দুশ্চিন্তা ও অনিদ্রা এডরেমিলিন হরমোনের প্রভাবে লিভার কতৃক গ্লকোজ তৈরির প্রবনতা বেড়ে যায় তাই দুশ্চিতা ও অনিন্দ্রা পরিহার করতে হবে।