২০০ বছরের প্রাচীন স্থান শ্রীশ্রী মঙ্গলচন্ডী মন্দিরে ৯ দিনব্যাপী আগাম দুর্গাপূজা শুরু

  • মৌলভীবাজার প্রতিনিধি.
    ২০০বছরের ঐতিহাসিক স্থানটিকে ধরে রাখতে নবমবারের মতো মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও ইছামতি চা বাগানের ভেতরে মঙ্গলচন্ডী মন্দিরে ৯ দিনব্যাপী আগাম দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। ৯ দিনে দেবীর ৯টি রূপের পূজা করা হচ্ছে।
    ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল থেকে ইছামতী চা-বাগানের মঙ্গলচন্ডী মন্দিরে দেবী দুর্গার শৈলপুত্রী রূপের পূজা এ পূজা শুরু হয়। দেবী দুর্গার ৯টি রূপ দেখতে প্রথম দিন থেকেই ভক্তরা মন্দিরে ভীড় শুরু করেন।
    দেবীর ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘণ্টা,কুষ্মান্ডা,স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রী, মহাগৌরী ও সিদ্ধিধাত্রী রূপে দেবী দুর্গার পূজা করা হবে।
    আগামী ৮ অক্টোবর দশমী পূজা ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পূজার সমাপ্তি হবে।
    মঙ্গলচন্ডী মন্ডপে এক সারিতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে দুর্গার ৯ রূপের ৯টি প্রতিমা। সেখানে চলছে পূজা-অর্চনা। ঢাকের আওয়াজে মোহিত হচ্ছে চারপাশ। নিজের ও দেশের মঙ্গল কামনায় দেবীর চরণে অঞ্জলিও দিচ্ছেন ভক্তরা।
    শ্রীশ্রী মঙ্গলচন্ডী সেবাশ্রম পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ্বজিৎ দেব জানান, এ দেবস্থলটি সর্বাধিক প্রাচীন স্থাপনা হিসেবে পরিচিত। এখানে রয়েছে মঙ্গলচন্ডী দেবীর থলি। ওই ঐতিহাসিক স্থানটিকে ধরে রাখতে এবার নবমবারের মতো পূজার আয়োজন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেবী দুর্গার ৯টি রূপকে বোঝানোর জন্য মূলত নবদুর্গা বলা হয়। শরৎকালে ৯ দিনে প্রতিদিন দেবী দুর্গার এই ৯ রূপের এক একজনকে পূজা করা হয়। এর আগে ২০১১ সালে এই পূজা এখানে শুরু হয়েছিল। ভক্তদের সংখ্যা প্রথমে কম হলেও এখন ভীড় লেগেই থাকে।
    শ্রীশ্রী মঙ্গলচন্ডী পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি পরিমল ভৌমিক বলেন, ২০০ বছরের পুরাতন শ্রীশ্রী মঙ্গলচন্ডী তলিতে বৈদিক নিয়ম অনুযায়ী দেবীর পৃথক ৯টি রূপের কাঠাম তৈরী করে রবিবার প্রথম দিন দেবীর শৈলপুত্রী রুপে পূজা শুরু হয়।
শেয়ার করুন