কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ
সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও কানাইঘাট উপজেলার সাতবাক ইউপি’র বারবার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান মস্তাক আহমদ পলাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট অপ-প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কানাইঘাট উপজেলা, পৌর আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
গতকাল শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে উপজেলা ও পৌর এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ বলেন, একটি কু-চক্রীমহল তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের উদ্দেশ্যে তৃণমূল আওয়ামীলীগের কান্ডারী দলের নিবেদিত প্রানকর্মী, ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে গড়ে উঠা আওয়ামীলীগ নেতা মস্তাক আহমদ পলাশের বিরুদ্ধে জগন্য মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। এই কুচক্রি মহল সম্পুর্ণ ভুয়া বানোয়াট মিথ্যা তথ্য দিয়ে গত ২ অক্টোবর সিলেটের একটি স্থানীয় পত্রিকায় “আওয়ামীলীগের প্রান শক্তি দলের দূর্দিনের কান্ডারী মস্তাক আহমদ পলাশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে এবং তাকে রাজাকারপুত্র আখ্যায়িত করে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা উদ্দেশ্য মূলক বলে বিবৃতিতে আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন। তারা বিবৃতিতে বলেন মস্তাক আহমদ পলাশ তৃণমুল আওয়ামীলীগের এক জনপ্রিয় নেতা। তার জনপ্রিয়তা দেখে গোটি কয়েক নব্য আওয়ামীলীগ নেতা ও তাদের দোসররা তাকে রাজাকারের পুত্র আখ্যায়িত করে অপ-প্রচারে লিপ্ত রয়েছে। তারা পলাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাতবাঁক ইউপি’র চরিপাড়া করডি গ্রামের রাজাকার আব্দুল মান্নানের পুত্র সাজাতে চাচ্ছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, অপ-প্রচারকারীরা কানাইঘাটের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানে না। কারন মস্তাক আহমদ পলাশের বাবা একজন ভাল মানুষ ছিলেন তিনি রাজাকার ছিলেন না।
এ প্রসঙ্গে সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিট কমান্ড কর্তৃক রণাঙ্গণ-৭১ পুস্তকে উপজেলা ভিত্তিক রাজাকারের তালিকার ২২ নং ক্রমিকে রাজাকার আলবদর হিসাবে যে আব্দুল মান্নানের কথা বলা হয়েছে, সেই আব্দুল মান্নান মস্তাক আহমদ পলাশের বাবা নয়। প্রকৃতপক্ষে সেই মান্নানের বাড়ি সাতবাঁক ইউপি’র চরিপাড়া গ্রামে। যা বহু পূর্বে মস্তাক আহমদ পলাশকে বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার আফতাব উদ্দিন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নাজমুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক, গিয়াস উদ্দিন সহ বীর মুক্তিযোদ্ধারা পলাশের বাবা রাজাকার ছিলেন না বলে লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন আওয়ামীলীগের দুর্ঃদিনের কান্ডারী মস্তাক আহমদ পলাশের দেশপ্রেম, দলের প্রতি আনুগত্য ও জনপ্রিয়তা দেখে নব্য আওয়ামীলীগের গোটি কয়েক নেতাকর্মী দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। তারা সুযোগ বুঝে মস্তাক আহমদ পলাশের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে বিভিন্ন সময়ে অপ-প্রচার চালাচ্ছে। তৃণমুলে তাদের কোন জনপ্রিয়তা নেই। পলাশের বিরুদ্ধে দূর্নীতির কোন সুনির্দিষ্ট মামলা নেই এবং কোন মামলায় তিনি অভিযুক্ত নয় তারপরও বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তার বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালানো হলেও কুচক্রি মহল তাদের অভিযোগের কোন প্রমান ও করতে পারেননি। এ ধরনের অভিযোগ যারা এসব অপ-প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে তারাই হচ্ছে কুখ্যাত রাজাকার পরিবারের। তাদের গায়ে রাজাকারের যে গন্ধ রয়েছে তা এক সময় বেরিয়ে আসবে বলে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ হুশিঁয়ারী উচ্চারণ করেছেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন কানাইঘাট উপজেলা আ’লীগের আহবায়ক সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক যথাক্রমে বাণীগ্রাম ইউপি’র চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ চৌধুরী, রিংকু চক্রবর্তী, পৌর আ’লীগের আহবায়ক জামাল উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক ভানু লাল দাস, নাজমুল ইসলাম হারুন, আ’লীগ নেতা আব্দুল মুমিন চৌধুরী, বড়চতুল ইউপি আ’লীগের সভাপতি মুবশি^র আলী চাচাই, সাধারণ সম্পাদক জামিল আহমদ, সাতবাঁক ইউপি আ’লীগের সভাপতি মখদ্দুস আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুন নুর, রাজাগঞ্জ ইউপি আ’লীগের আহবায়ক আব্দুল আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস শহিদ, মাহবুবুল হক টুনু, সুহেল রানা, বাণীগ্রাম ইউপি আ’লীগের সভাপতি মাষ্টার সিরাজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মামুন রশিদ, লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপি আ’লীগের সাধারন সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপি আ’লীগের আহবায়ক ফখর উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল খালিক, সদর ইউপি আ’লীগের সভাপতি মামুন রশিদ, উপজেলা মহিলা আ’লীগের সভপতি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা বেগম, সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা বেগম, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক জুনেদ হাসান জীবান প্রমুখ।