মুহাম্মদ হাবিলুর রহমান জুয়েল, ফেঞ্চুগঞ্জ, সিলেটঃ
কখনো বঞ্চিত আবার কখনো লাঞ্চিত। এভাবেই চলছিলো ফেঞ্চুগঞ্জের আ. লীগের রাজনীতি। প্রতিহিংসা আর ক্ষমতা নিয়ে ছিল বেশ উত্তেজনা৷ তবে কবে সেই সমাধান আসবে তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। কমিটি আছে আবার পূর্নাঙ্গ কমিটি নেই৷ এভাবেই চলছিলো ফেঞ্চুগঞ্জের তৃণমূল রাজনীতি। সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে সিলেট ৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ) আসলে ২০১৮ সালে মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী তৃতীয় বারের মত নির্বাচিত হন। তার পূর্বেই বিতর্কিত মামলা শেষে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১নং সদরে আল ইসলাহ সমর্থিত প্রার্থী, ২নং মাইজগাঁও বিএনপি, ৩নং ঘিলাছড়ায় আ. লীগ, ৪ নং উত্তর কুশিয়ারায় বিএনপি এবং ৫ নং উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জেও বিএনপি জয়লাভ করে। দুঃখজনক বিষয় হল সেই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মাত্র একটি ইউনিয়ন জয় করার পর বিভিন্ন মহলে এর বিতর্ক সৃষ্টি হয়। কিন্তু এটা যদিও নিজস্ব দলীয় প্রতীকে ছিল তবুও বলতে হবে এটা স্থানীয় নির্বাচন।
পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়লাভ করেন আ. লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম। সর্বশেষ বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছিল এমপি সামাদ ও মো. নুরুল ইসলামের। যাতে বোঝা গিয়েছিল তাদের মধ্যে এখনো আগের মতই সৌহার্দ্য সম্পর্ক রয়েছে। এবার দুজনেই একসাথে এক বাসায় আলোচনার টেবিলে। এতে করে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এমপি সামাদের প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাচ্ছে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার তৃনমুল রাজনীতি। যা হঠাৎ দুর্বল হয়ে পড়েছিল। এর আগে থেকেই এ পর্যন্ত কিছুটা ছন্নছাড়া পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল ফেঞ্চুগঞ্জের আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে। এর উপর প্রভাব ফেলেছিল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীতা ঘোষণা করা হাবিবুর রহমান হাবিব সহ এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের বেশ কয়েকবার ফেঞ্চুগঞ্জ সফর। যা রাজনীতির মাঠে ফেঞ্চুগঞ্জ আওয়ামীলীগকে দুইভাগে বিভক্ত করে। তখন এমপি সামাদের পাশ থেকে ছিটকে যান সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছিত টুটুল, সহ-সভাপতি গোলাম মওলা, এমপি সামাদের কনিষ্ঠ মরহুম ফখরুল ইসলাম ফুরুক সহ বেশ কয়েকজন আওয়ামীলীগের নেতা। যার অন্যতম নেপথ্যে ছিলেন মো. নুরুল ইসলামও।
এখন দেখার বিষয় সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আবারও কি একই মঞ্চে একসাথে দেখাযাবে এসব ত্যাগী নেতাদের।