জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর সদর ইউনিয়নের গৌরীপুর গ্রামের সড়ক নির্মাণ কাজের ব্যাপক অনিয়মের অভিযো

  • জুড়ী প্রতিনিধি
  • জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর সদর ইউনিয়নের গৌরীপুর গ্রামের সড়ক নির্মাণ কাজের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সড়কের কাজ শেষ হতে না হতেই হাত দিয়ে টান দিলেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। এই দৃশ্যটি দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকার লোকেরা ভিড় করছেন।
  • এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, এই সড়কটির শুরু থেকেই নিম্নমানের কাজ হচ্ছিল। কাজের অনিয়মের বিষয়ে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে ঠিকাদার পুলিশের এক এসআইকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে ভয় ভীতি প্রদর্শন করান।
  • এলজিইডি সূত্র জানায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জায়ফরনগর ইউনিয়নের ভোগতেরা বিশ্বনাথপুর সড়ক এবং পাশের গৌরীপুর এলাকার এক কিলোমিটার কাঁচা সড়ক পাকাকরনের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। প্রায় ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি পান ঠিকাদার নোমান আহমদ। ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর কাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল ২০১৮ সালের ২৮ মে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ঠিকাদার কাজ শেষ করতে পারেননি। এরপর সড়কের শেষের দিকের কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় বড়লেখার ঠিকাদার কামাল হোসেনকে। ১০ অক্টোবর গৌরীপুর এলাকায় ১৯৬ মিটার সড়কের পাকার কাজ শুরু হয়।
  • ১৬ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে সরজমিনে গেলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সড়কের কার্পেটিংয়ের পুরুত্ব ২৫ মিলিমিটার হওয়ার কথা ছিল কিন্তু ঠিকাদার সেখানে তা ১০ থেকে ১৫ মিলিমিটার পুরুত্ব দিয়েছেন। বিটুমিনও কম দেওয়া হয়েছে। তাই নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরে বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে টান দিলেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জায়ফরনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মাছুম রেজা বলেন, অভিযোগের বিষয়ে জানতে পেরে তিনি ইতিপূর্বে সরজমিন গৌরীপুরে যান।
  • এ বিষয়ে ঠিকাদারের লোকজনদের কাজ করতে বারণ করেন এবং বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় তুলে ধরেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে একাধিকবার যোগযোগের চেষ্টা করলে ঠিকাদার কামাল হোসেনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে সড়কের শ্রমিকদের কাজের সুপারভাইজার জহির মিয়ার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিকাদারের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা কাজ করেছেন।
  • এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন খান বলেন, কার্যাদেশ অনুযায়ীই কাজ হয়েছে। কার্পেটিংয়ের পুরুত্ব ২৫ মিলিমিটার সিডিউলে ছিল। তবে স্থানাভেদে এক-দুই কিলোমিটার এদিক-সেদিক হতে পারে।
  • জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসীম চন্দ্র বনিক অভিযোগ পেয়ে রাস্তাটি সরজমিন পরিদর্শনে গেলে এলাকাবাসী কাজের অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরেন।
শেয়ার করুন