এপ্রিল মাস থেকে সিলেট বিমান বন্দর থেকে ৭৭৭ বিমানের ফ্লাইটগুলো সরাসরি যুক্তরাজ্যে যাতায়াত করবে–বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো.মাহবুব আলী এমপি

  • সাইফুল  ইসলাম …বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো.মাহবুব আলী এমপি বলেছেন, আগামী এপ্রিল মাস থেকে সিলেট বিমান বন্দর থেকে ৭৭৭ বিমানের ফ্লাইটগুলো সরাসরি যুক্তরাজ্যে যাতায়াত করবে। যাতে সিলেটের কোন যাত্রী হয়রানির শিকার না হন। এজন্য সিলেট বিমানবন্দরকে তার রানওয়ে ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করার একটা প্রজেক্ট নেয়া হয়েছে। এটার কাজ গত ২দিন আগে থেকে কাজ শুরু হয়েছে। বৃষ্টির জন্য হয়তো বন্ধ আছে। আর শমশেরনগর বিমানবন্দর অলরেডি আছে। সেখানেও আবার পর্যায়ক্রমে কাজ করা হবে ।

  • শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুপরে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে মৌলভীবাজার জেলার পর্যটন উন্নয়নের সুনিদিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নিয়ে মতিবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

  • তিনি আরও বলেন,বাংলাদেশে যতো ভাল অফিসার গুলো রয়েছে সমস্ত অফিসার গুলো বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে পোস্টিং হয়েছে। তাদেরকে নিয়ে আমি কাজ করে যাচ্ছি। আজ যদি পর্যটন করর্পোরেশন গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট গলফ বা প্যাসেল রির্সোট করতো তার মূখ থুবড়ে পড়তো। পর্যটনখাত ব্যক্তিগত উদ্যোগ অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে। পর্যটন করর্পোরেশন পর্যটকদের নিয়ে অনেক কিছু করেছে। করে নাই সেটা বলা যাবে না ?। প্রতিটি প্রজেক্ট মূখ থুবড়ে পড়েছে,কোনটার দরজা খুলে নিয়ে গেছে আবার কোনটার বিভিন্ন ধরণের সমস্যা রয়েছে যাহা পর্যটনের কোন কাজে আসে না, আমরা চাচ্ছি জনগণের পয়সা,এটা যাতে কোন ভাবেই অপচয় না হয় এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষে আমরা চলছি। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য মাত্রায় পৌঁছতে হবে সেক্ষেত্রে পর্যটনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সেই লক্ষ্যগুলোকে সামনে নিয়ে ৫ টাকা অথবা ১০ টাকা বা ৫ কোটি টাকা যেটাই খরচ করি, যাতে টেকসই হয় পর্যটন বান্ধব হয়,রুচিশীল হয়। দেশের মানুষতো জানেই সুইজাল্যান্ডের একজন নাগরিকও যদি আসে,সে যদি একটা টয়লেটে গিয়ে বুঝতে পারে বাংলাদেশও টয়লেটের অবস্থা সুইজাল্যান্ডের মতো। এ ধরণের একটা অবস্থান তৈরি করে আমরা পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে কিছু কাজ হাতে নিবো,যেগুলো দিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে পারি। মৌলভীবাজার জেলার সৌন্দর্য কিভাবে তুলে ধরা যায় সবার কাছে সেই লক্ষে আমাদের কিছু কার্যক্রম শুরু করবো। সারা বাংলাদেশে প্রতিটি জেলায় এই কাজগুলো করবো। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি লন্ডনের রাস্তায় দৃষ্টিনন্দন সাইটসিন কালারফুল বাস গাড়ী রয়েছে। আমরা সিদ্বান্ত নিয়েছি অন্তত দুইটা বাস সিলেট দেই। আমরা ঢাকায়ও চালু করবো এই বাস। ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে কনসালটেন্ট নিয়োগের পথে। হয়তো এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞ মাষ্টারপ্ল্যান তৈরি করবে সারাদেশে। সেখানে ৪ জন ব্রিটিশ ১জন ফ্রেঞ্চ এবং আমাদের দেশের বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। তারা সারা বাংলাদেশে সার্ভে করবেন। একটা ওয়ান স্টপ সার্ভিস কোথায় কোন জায়গায় করতে হবে,কোনটা করলে ভাল হবে তারা একটা প্ল্যান দিবে। সেই প্ল্যান অনুযায়ী আমরা অগ্রসর হবো। এটা কিছুটা সময়ের ব্যাপার। ইতিমধ্যে সিন্ধান্ত নিয়েছি বাংলাদেশের ৮টি জায়গায় স্থাপনা তৈরি করবো। একজন পর্যটক সিলেটে এসে মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওর কিভাবে যেতে হয় উনি যাতে ভূসিয়ারে দেখতে পান। মাষ্টারপ্ল্যান আসার আগেই এধরণের পরিকল্পনা আমাদের। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মৌলভীবাজার ৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ,বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাস, সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আজিজুর রহমান, মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো.ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার)।মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন। এসময় পর্যটন বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাউর রহমান, পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন,কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রনধীর কুমার দেব, প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুল হামিদ মাহবুব, হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু, কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান এম আতিকুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা শিশু বিষায়ক কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন।

শেয়ার করুন