কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সাঁতবাক ইউপির চড়িপাড়া গ্রামের হাজী ফয়জুল হকের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২৫ অক্টোবর শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফয়জুল হকের পাকা বসত ঘরের কলাপসিবল গেট ও ঘরের দরজা কৌশলে ভেঙ্গে ৮/১০ জনের মুখোশ পরীহিত অস্ত্রধারী ডাকাতদল তার ঘরে প্রবেশ করে তার সদ্য ফেরত সৌদি প্রবাসী ছেলে মাহতাব উদ্দিন সহ পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে। পরে ডাকাতরা পাকা বসত ঘরের ৫টি কক্ষের শোকেস, আলমারিসহ সমস্ত মালামাল তছনছ করে নগদ অনুমান ৭০হাজার টাকা ও ৮ভরি স্বর্ণালংকার, কয়েকটি মোবাইল সেটসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
ডাকাতির সময় ডাকাতরা মহিলাদের গলা এবং কানের স্বর্ণের দূল ছিড়লে তাদের শোর চিৎকারে ঘরের একটি কক্ষে থাকা গৃহকর্তা বৃদ্ধা ফয়জুল হক এগিয়ে আসলে ডাকাতরা তাকে মারধর করে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে। অনুমান ১ঘন্টা ডাকাতি সংঘটিত করে ডাকাতরা মালামাল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর ভোরে বাড়ির লোকজনের আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় মুক্ত করেন।
এ ঘটনার খবর পেয়ে গতকাল শনিবার সকালে কানাইঘাট থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ার জাহিদ, সাঁতবাক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দূল মান্নান সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে যান। আনোয়ার জাহিদ এ ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবেন বলে ফয়জুল হকের পরিবার সহ স্থানীয় লোকজনকে আশ্বস্ত করেন। ফয়জুল হকের স্বজনরা জানান, ডাকাতরা পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে ফেলে। তাদের অনেকের হাতে বন্দুক সহ ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র ছিলো। ফয়জুল হকের পুত্র মাহতাব উদ্দিন আড়াইমাস আগে সৌদি থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন। তার আরেক ভাই সেলিম উদ্দিন ফ্রান্স, আরেক ভাই হেলাল সৌদি প্রবাসে রয়েছেন। অসি (তদন্ত) আনোয়ার জাহিদ জানিয়েছেন, ঘটনাটি আমরা তদন্ত করে যাচ্ছি, কারা ফয়জুল হকের বাড়িতে অপরাধ কর্মকান্ড করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তবে ফয়জুল হকের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় থানায় পরিবারের কেউ অভিযোগ এখনো দেননি বলে জানা গেছে।