শ্রীমঙ্গলে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন-যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জিডি করলেন মাদ্রাসা শিক্ষক

  • শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:
  • মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক ও যুবলীগ নেতা পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে একে অপরকে জড়িয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন।রোববার দুপুরে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন লাইয়ারকুল গ্রামের মৃত মো. তোতা মিয়ার ছেলে মো. আব্দুল মুহিত ফুল মিয়া।
  • লিখিত বক্তব্যে উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের মাধবপাশা গ্রামের মৃত আলতাফুর রহমানের ছেলে উপজেলা যুবলীগের সদস্য বদরুল আলম শিপলু জোরপূর্বক তার পৈত্রিক জমি দখলে নেয়ায় হুমকি দেয়ার অভিযোগ তুলেন।
  • এ ঘটনায় আব্দুল মুহিত পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা ও নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত ২৬ অক্টোবর শ্রীমঙ্গল থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেছেন। জিডি নং ১৫৪৬/২৬/১০/২০১৯ইং।সংবাদ সম্মেলনে মুহিত ফুল মিয়া বলেন, তিনি সাতগাঁত্ত সামাদিয়া আলিম মাদ্রাসায় শিক্ষক। লইয়ারকুল মৌজায়, জে এল নং-৩৫, দাগ নং-৩২২৯, আর এস দাগ নং- ৪৫১৯ এ তার পিতার ক্রয় সুত্রে ০.১৭ একর ভূমি রয়েছে।
  • জমিটি তার পিতা বিগত ২২/০৫/১৯৫৮ ইং তারিখে ২১৩৮ নং কাবলায় খরিদ করেন। পিতার মৃত্যুর পর উত্তরাধীকার সুত্রের তিনি ওই জমির মালিক হয়ে ভোগ দখলে আছেন। সম্প্রতি আমার পিতার রেখে যাওয়া ভূমিকে লোলুপ দৃষ্টি পরে মাধবপাশা গ্রামের মৃত আলতাফুর রহমানের ছেলে বদরুল আলম শিপলুর। শিপলু জাল জালিয়াতের মাধ্যমে উক্ত ভূমি খানা তাহার নামে নামজারি করে নেন। তিনি এ খবর জানতে পেরে গত ২২ আক্টোবর শ্রীমঙ্গল ভুমি অফিসে মো. বদরুল আলম শিপলু নামে সৃজন করা নামজারি বাতিলের মিছকেইস মামলা করি। মামলা নং-২৩৬২/ ২০১৯-২০ইং। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিপলু গত ২৫ তারিখ সন্ধ্যার দিকে সাতগাঁত্ত বাজারে গিয়ে লোকমুখে প্রচার করতে থাকে যে, দলবল নিয়ে সে ওই জমি আজ সোমবার জোরপূর্বক তার দখলে নেবে এবং তাকে হুমকি দিয়ে বলেন তিনি যেন পারলে তাকে আটকান।তিনি ওই যুবলীগ নেতার হাত থেকে নিজের জীবনের নিরাপত্তা ও পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।
  • অপরদিকে বিকেল চারটার দিকে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে মাদ্রাসা শিক্ষক মো. আব্দুল মুহিত ফুল মিয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবী করে উপজেলা যুবলীগের সদস্য বদরুল আলম শিপলু বলেন,‘উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নের লইয়ারকুল মৌজার জেএলনং ৩৫,দাপ নং ৩২২৯,আর এস দাগ নং ৪৫১৯,মোট ০.১৭ শতক ভূমি। যাহার প্রকৃত মালিক মফিজ উল্যা মারা যাওয়ার পর তাহার রেখে যাওয়া উত্তরাধিকার হন ওয়ারিশানগন। তাহাদের নিকট হতে আমি রেজিস্ট্রিদলিলমূলে ক্রয় করি এবং ওই জমির সমস্ত ডকুমেন্ট এসএ,আরএস,মাঠ পর্চা মূলে খাজনা সূত্রে মালিকানা কাগজাত নথিপত্র এসিল্যান্ড অফিসে উপস্থাপন করে নামজারি করি।
  • সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে জোরপূর্বক জমি দখলে যাবো কেনো?। আর হুমকিই দিতে যাব কেনো। এটি একধরণের মিথ্যাচার।’তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন,যেহেতু আমি জানতে পেরেছি,আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগকারী আব্দুল মুহিত সহকারী কমিশনার ভুমি বরাবরে একটি মিছকেইছ দায়ের করেছেন। তাই আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল বিধায় ঐ মিছ কেইছের রায়ের ফলাফল জেনে আমি পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নিবো।
শেয়ার করুন