অনুপ্রবেশকারীর তালিকায় তৃনমুলের প্রাণ মিসলু কেন?

মুহাম্মদ হাবিলুর রহমান জুয়েল, ফেঞ্চুগঞ্জঃ
বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের বহিরাগত কর্মীদের তালিকায় নাম এসেছিল মাহবুবুল ইসলাম চৌধুরী মিসলুর। সেই তালিকার নাম ছিল ‘অনুপ্রবেশকারী’। সেখানে কী উল্লেখ ছিল তা স্পষ্ট জানা যায়নি। যেকারণে বলতে হচ্ছে তৃনমুলের প্রাণ খ্যাত মিসলু কেন অনুপ্রবেশকারীর তালিকায়? যিনি কিনা ফেঞ্চুগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক তারপর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক ছিলেন। তাহলে যদি তিনি দলে অনুপ্রবেশকারী হোন তবে কোন সময় অর্থাৎ তার জীবনের কোন এমন মুহূর্তে তিনি দলে ছিলেন না, প্রশ্নটার উত্তর কি রয়েছে?
বারবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি বাক্য দেখা যাচ্ছে একজন মিসলু হারানো সম্ভব কিন্তু অন্য মিসলু তৈরি করা সম্ভব নয়। তাহলে কর্মীদের এমন আকুতিতেই স্পষ্ট তিনি দলে অনুপ্রবেশকারী নন। তাহলে কেন তাকে এমন আখ্যা দেওয়া হল যিনি কিনা দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলের হাল ধরেছেন। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যক্রম গতিশীল করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। এখন প্রশ্ন একটাই এই অনুপ্রবেশকারীদের তালিকায় তো আরও কিছু নাম আসতে পারত যারা কিনা সদ্য দলে এসে বসন্তের কুলিলের মত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
ছাত্রলীগের কর্মীদের মনে এখন এতটাই ক্ষোভ জমে রয়েছে যা প্রকাশ করছেন শুধু সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে। এর সমাধান কি? মিসলু কি আবারও ধরবেন দলের হাল, নাকি রয়ে যাবেন অনুপ্রবেশকারীদের তালিকায়।
শেয়ার করুন