- মৌলভীবাজার প্রতিনিধি.
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধারকৃত বিপন্ন প্রজাতির ৬টি মেছো বাঘের (লঁহমষব পধঃ) ছানা সুস্থ রয়েছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ওই গ্রাম থেকে ছানাগুলোকে উদ্ধার করে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ।
বনবিভাগের সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকায় শুক্রবার সকালে ধান কাটতে গিয়ে স্থানীয় কৃষকরা স্তুপকৃত ধানের মধ্যে মেছো বাঘের ৬টি বাচ্চাকে দেখতে পান। পরে এলাকাবাসী মেছোবাঘের বাচ্চাদের দেখতে ভিড় করেন এবং শুক্রবার রাতে বনবিভাগকে খবর দেন। খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেনের ব্যবস্থাপনায় স্বেচ্ছাসেবক ও প্রাণীপ্রেমী সোহেল শ্যাম, পিয়াস আহমেদ ও বন প্রহরী বুলবুল মিয়া ওই এলাকার কৃষক সামছুল ইসলামের বাড়ি থেকে মেছো বাঘের বাচ্চাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
বর্তমানে বাচ্ছাগুলো প্রাণীপ্রেমী সোহেল শ্যামের অধীনে শ্রীমঙ্গলস্থ সবুজবাগে নিজ বাসায় আছে। তার মাধ্যমে প্রাণীগুলোকে করে সুস্থ করে তোলার পর বনে অবমুক্ত করা হবে।
সোহেল শ্যাম বলেন, বাঘগুলো শুক্রবার রাত থেকে কিছু খায়নি। এদের বয়স গড়ে ২৫ দিন হবে। ড্রপার দিয়ে খাওয়াতে হচ্ছে। মায়ের যতœ ছাড়া এত ছোট বাচ্চাদের বাঁচিয়ে রাখা খুবই সতর্কতার এবং পরিশ্রমের।’
শ্রীমঙ্গল বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন রবিবার সকালে বলেন, ওই গ্রামের এক কৃষক ধান কেটে ধানগুলো স্তুপ করে রেখেছিলেন। সে স্তুপের মধ্য থেকে বনবিড়ালের ছয়টি ছানা পাওয়া গেছে। আমাদের ধারণা, মা বনবিড়ালটি তার ছানাগুলোকে রেখে চলে গেছে।
মেছোবাঘের ছানাগুলো সোহেলের কাছে দিয়েছি কারণ এই বয়সের বাচ্চাকে মাতৃৃস্নেহে সেবা দিতে হবে, নয়তো বাঁচানো যাবেনা। চার থেকে পাঁচ মাসেই তারা সুস্থ এবং স্বাবলম্বী হয়ে যাবে। তবে সুস্থ হলেই তখন তাদেরকে লাউয়াছড়া বনে অবমুক্ত করা হবে বলে তিনি জানান’।
মেছোবাঘ নিশাচর প্রাণী। তবে মাঝে মধ্যে দিনের বেলাও খাবারের সন্ধানে বের হয়। সাধারণ, বনের প্রান্তে, নির্জন গ্রাম ও সবুজ বনে তাদের দেখা যায়। এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে ছোট স্তন্যপায়ী, হাঁস-মুরগি ও পাখি।
ধান ক্ষেতের স্তুপ থেকে উদ্ধারকৃত ৬টি বিপন্ন প্রজাতির মেছো বাঘের ছানা সুস্থ রয়েছে
শেয়ার করুন