নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মাদরাসার জমি বাপ-দাদার সম্পত্তি হিসেবে দাবি তোলে ফেসবুকে আলেম ওলামাদের কটুক্তি করে স্ট্যাটাস দেওয়ায় বিটিভির সাংবাদিক মোস্তফা বাবুলের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আল-জামিয়াতুল হাবিবিয়া কওমী মাদরাসার শিক্ষকরা। সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে মাদরাসা প্রাঙ্গণে এলাকাবাসী, মাদরাসা শিক্ষক, ছাত্র ও বিভিন্ন মসজিদের ইমামের উপস্থিতিতে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলন শেষে মাদরাসার শিক্ষকরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। এর আগে শনিবার (২৩ নভেম্বর) সাংবাদিক মোস্তফা বাবুলের বিরুদ্ধে জামালপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. হাসান আলী।
সাংবাদিক মোস্তফা বাবুলকে ইসলাম ও ধর্ম বিদ্বেষী, অর্থলোভী ও সম্পদ জবরদখলকারী উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা হাসান আলী, পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও শিক্ষক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষা সচিব মাওলানা মোফাজ্জল হোসেন, ইত্তেফাকুল ওলামা জামালপুর জেলার সভাপতি মুফতি শামছুদ্দিন, বড় মসজিদের ইমাম মাওলানা মুফতি মো. আব্দুল্লাহ, মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মোহাম্মদ আলী, জামালপুর উচ্চ বিদ্যালয় মসজিদের ইমাম মাওলানা আলাউদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন জামালপুর জেলার সভাপতি ডা. সৈয়দ ইউনূস আহমেদ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিক মোস্তফা বাবুল তার ফেসবুক আইডিতে গত ২১ নভেম্বর-জামিয়াতুল হাবিবিয়া কওমী মাদরাসার অধ্যক্ষ ও ছাত্রদের নামে মানহানিকর স্ট্যাটাস দেন। এছাড়া স্ট্যাটাসে ওই মাদরাসায় জঙ্গিবাদসহ বিভিন্ন উস্কানিমূলক কথা উল্লেখ করে ওলামায়ে কেরাম ও মাদরাসার সুনাম ক্ষুন্ন করা হয়েছে বলে বক্তারা দাবি করেন।
জামালপুর জেলা প্রশাসনের কাছে সাংবাদিক মোস্তফা বাবুলকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তারা। নইলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সেই সাথে জামালপুর প্রেসক্লাবের সদস্যপদ থেকে তাকে প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছেন।
সাংবাদিক মোস্তফা বাবুল সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আমার স্ট্যাটাসে ধর্ম অবমাননাকর একটি শব্দও নেই। আমি যা লিখেছি তা আমার একান্ত উপলব্ধি ও সত্য ঘটনা। ওই জমি যদি আমাদেরও না হয় তবুও মাদরাসার জমি নিয়ে যেহেতু আদালতে মোকদ্দমা চলমান রয়েছে, সেহেতু মোকদ্দমা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই জমিতে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ কোনো স্থাপনা তৈরি করতে পারেনা। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ওই জমিতে টিনের ঘর তোলে দেশের প্রচলিত আইনকে অমান্য করেছে।