মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন চলাকালীন সময়ে ছাত্রলীগের দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
২ডিসেম্বর সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে মৌলভীবাজার শহরের পৌর জনমিলন কেন্দ্রে ছাত্রলীগের দু,গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সম্মেলনে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে পৌরসভার মেয়র জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুর রহমান ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের বলয়ের দুটি গ্রুপের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি, হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় এক গ্রুপের নেতাকর্মীরা অন্য গ্রুপের নেতাকর্মীদের দিকে চেয়ার ছোঁড়ে মারা হয়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও সম্মেলন স্থলের জানালার গ্লাস ভাঙ্গার ঘটনা ঘটে।
দুপুর থেকে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সাথে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আসতে থাকে সম্মেলনস্থল পৌর জনমিলন কেন্দ্রে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে জনমিলন কেন্দ্রে বাড়তে থাকে নেতাকর্মীদের ভিড়।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে বক্তব্য শুরু হওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে শুরু করে। বেশ কয়েকবার মঞ্চ থেকে তাদের স্লোগান দিতে বারণ করা হয়। কিন্তু তারা স্লোগান দেওয়া বন্ধ করেনি।
কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান তার বক্তব্য শুরু করলে সম্মেলনের প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আহমদ হোসেন সংঘর্ষ বন্ধ করার জন্য বার বার আহবান জানান। সংঘর্ষ বন্ধ না করলে সম্মেলন স্থল ত্যাগ করার ঘোষণা দেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীরীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মো. ফজলুর রহমান ও কামাল হোসেন।
পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি শান্ত করলে বক্তারা তাদের বক্তব্য শুরু করেন।
মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান বলেন, বিষয়টি অনাকাক্ষিত ভূলবুঝাবুঝি। বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে দলীয় নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পরিবেশ শান্ত হয়।’