কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ
কানাইঘাটের ডোনা সীমান্তে ২৮ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে নিহত বড়খেওড় গ্রামের আবুলুর রহমানের পুত্র সালমান আহমদ (১৮) এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় তার নিজ গ্রাম বড়খেওড় জামে মসজিদে জানাজার নামাজ শেষে গ্রামের কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
জানা যায়, দিন মজুর হিসাবে বিএসএফের গুলিতে নিহত সালমান আহমদ সহ কয়েকজন কে পেশাদার ভারতীয় গরু-মহিষ চোরাকারবারী চক্রের সদস্য সীমান্তবর্তী মিকিরপাড়া গ্রামের রফিকুল হকের পুত্র ফরিদ উদ্দিন, সাদ্দাম হোসেন ও নক্তিপাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজের পুত্র সোনা মিয়া, বাউরভাগ ৪র্থ খন্ড গ্রামের নূর উদ্দিন, ঠাকুরের মাটি গ্রামের মনাফের পুত্র রফিক, কাপ্তানপুর পূর্ব গ্রামের মনাফের পুত্র সালিক আহমদ ভারত থেকে গরু-মহিষ আনার জন্য অতিরিক্ত লোভও বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে লোক পাঠানোর হুতা ডোনা ৯নং গ্রামের আব্দুল মুতলিবের পুত্র দালাল আমিন উদ্দিন, শুয়াইবুর রহমান (সোনাবন্ধু) জকিগঞ্জের শাহগলির আব্দুস শুক্কুর অবৈধ ভাবে ভারতে পাঠায়।
ভারতে অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে বিএসএফ সালমান আহমদ কে গুলি করে হত্যা করার পর উল্লেখিত চোরাকারবারীরা বিষয়টি দামাচাপা দেওয়ার জন্য নানা ভাবে পায়তারা শুরু করে। কিন্তু থানা পুলিশ শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) নিহত সালমানের লাশ উদ্ধার করে ৩০ নভেম্বর (শনিবার) ময়না তদন্তের পর নিহতের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
এ ঘটনায় থানায় নিহতের সালমানের পিতা আবুলুর রহমান বাদী হয়ে অপ-মৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন। সালমানকে লোভ দেখিয়ে জোর পূর্বক ভাবে ভারতে গরু আনতে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া চোরাকারবারী ফরিদ, সাদ্দাম, সোনা মিয়া, আমিন উদ্দিন গংরা বিএসএফের গুলিতে নিহত দিন মজুর সালমানের পরিবার কে মামলা না করার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে আপোষ রফাদফা করেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।