স্টাফ রিপোর্টার :: বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কুলাউড়া উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি চূড়ান্ত করা হয়নি ৩ বছরেও। বর্তমান কমিটি ব্যর্থ বলে উল্লেখ করে, ছাত্রলীগের কর্মীরা চায় এই কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি। এ নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক জানান, পূর্ণাঙ্গ কমিটি জেলায় জমা করা আছে অচিরেই ঘোষণা করা হবে।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান রনি ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রনি স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে নিয়াজুল তায়েফকে সভাপতি ও আবু সায়হাম রুমেলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট এক বছরের কমিটি গঠন করা হয়। এরমধ্যে কমিটির একজন সহ-সভাপতি নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় সংগঠন থেকে বহিষ্কার হয়েছেন এবং আরেকজন সহ-সভাপতি ইতিমধ্যে বিয়ে করেছেন।
উপজেলা কমিটি ছাড়াও হাবিবুর রহমান জনিকে সভাপতি ও ইমন আহমদকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬ সদস্যের পৌর কমিটি এবং জাকারিয়া আল জেবুকে সভাপতি ও আনোয়ার বখসকে সাধারণ সম্পাদক করে কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজ কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে চলতি বছরের ৭ জুলাই মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির দায়িত্ব পান বর্তমান সভাপতি আমীরুল হোসেন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাদের স্বাক্ষরিত পত্রে নির্দেশনা দেয়া হয় ১৫ দিনের মধ্যে ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা। কিন্তু জেলা ছাত্রলীগের নির্দেশনার ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি উপজেলা ছাত্রলীগের তায়েফ-রুমেল কমিটি।
পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান জনি জানান, জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশ মত ৮১ সদস্য বিশিষ্ট পৌর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিয়েছি। কিন্তু এখনও কোনো অনুমোদন পাইনি।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সায়হাম রুমেল জানান, আমিও সভাপতি (তায়েফ) মিলে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জেলার সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের কাছে জমা দিয়েছি। অচিরেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমীরুল হোসেন চৌধুরী জানান, আমি একটা মিটিংয়ে আছি এ বিষয়ে পরে কথা বলব।
জালালাবাদবার্তা২৪ডটকম/১৪ডিসেম্বর২০১৯/এসএ