কানাইঘাট (সিলেট) প্রতিনিধিঃ
কানাইঘাট বড় চতুল ইউপির ১নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য জাপা নেতা উসমান গণির বসত বাড়ির ৪ শতক জমি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে রেকর্ড করে জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় হারাতৈল উপর বড়াই গ্রামের মৃত হাজী গণি বক্সের পুত্র সাবেক ইউপি সদস্য উসমান গণি বাদী হয়ে একই গ্রামের প্রতিবেশী জমি জবর দখলকারী মৃত মন্তাজ আলীর পুত্র আব্দুর রব ও তার ভাই আব্দুল আহাদকে আসামী করে গত ১২/১০/১৯ইং তারিখে কানাইঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার এএসআই লতিফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পান।
বিষয়টি গ্রামের মুরব্বিয়ানগণ সামাজিক সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে দিবেন বলে পুলিশের কাছে সময় নেন। পরে এলাকার মুরব্বিয়ানরা অদ্যাবধি পর্যন্ত ৯ বার সালিশ বৈঠকে বসলেও অভিযোগের বিবাদীগণ সালিশ বৈঠকে কয়েক বার উপস্থিত হয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে উসমান গণির ভিটবাড়ির অর্ধশত বছরের খরিদা দখলীয় জোরপূর্বক ভাবে আত্মসাৎকৃত ৪ শতক জমির কোন দলিল বিবাদীগণ সালিশ বৈঠকে উপস্থিত করতে পারেনি বলে অভিযোগের বাদী উসমান গণিসহ অনেকে জানিয়েছেন।
সর্বশেষ ২১ ডিসেম্বর, শনিবার সকাল ১০টার দিকে হারাতৈল জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে এ নিয়ে সালিশ বৈঠকের সময় বিবাদীগণের লোকজন উসমান গণির উপর লাঠি সোটা নিয়ে হামলার চেষ্টা করলে সালিশ বৈঠকে উপস্থিত উসমান গণির ভগ্নিপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামীলীগ নেতা হাজী আতাউর রহমান বাবুল হার্ট এ্যাটাক করে মারা যান।
উসমান গণি জানিয়েছেন আব্দুর রব ও আব্দুল আহাদ সম্পূর্ণ জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে তার অগোচরে পৈত্রিক ভিটা বাড়ির ৪ শতক জমি জোরপূর্বক ভাবে দখল ও গাছপালা কেটে নেওয়ার ঘটনায় তিনি প্রায় আড়াই মাস পূর্বে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ নিয়ে বার বার সালিশ বৈঠকে বসলেও তিনি আব্দুর রব ও আব্দুল আহাদ কর্তৃক জালিয়াতি করে ভিট বাড়ির ৪ শতক জমি জবর দখলসহ আরো ৩ শতক জমি আত্মসাতের কাগজ পত্র নিয়ে হাজির হলেও বিবাদীগণ তাদের স্বপক্ষে জমির কাগজপত্র সালিশগণকে দেখাতে ব্যর্থ হয়।
সালিশ বৈঠকের কয়েকজন মুরব্বি বিষয়টি সত্য উল্লেখ করে বলেন, বিবাদীরা সালিশে উপযুক্ত জমির দলিল দেখাতে পারেনি। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন জাপা নেতা উসমান গণি। তবে এলাকায় গিয়ে জমি আত্মসাৎ বিষয়ে আব্দুর রব ও আব্দুল আহাদের বক্তব্য নেওয়ার জন্য চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।