কানাডায় ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ডিপোর্টেশনের সংবাদটি আসলে একটি গুজব

শওগাত আলী সাগর, টরন্টোঃ

’শত শত ভারতীয় ছাত্রকে টরন্টো থেকে বের করে দেয়া হয়েছ‘ বলে বাংলাদেশের কোনো কোনো পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করেছে। সংবাদে বলা হয়েছে, আইএলটিএস জালিয়াতির কারনে তাদের বের করে দেয়া হয়েছে।

খবরটি পড়ে কতোগুলো প্রশ্ন জাগলো। প্রথমত: এই খবরের উৎস সম্পর্কে ঢাকার মিডিয়া কিছুই উল্লেখ করেনি। তারা কোন পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিলো? কলেজে পড়তো না কি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো? তাদের বহিষ্কারের আদেশ কারা দিযেছে? প্রতিষ্ঠান কবে ভর্তি বাতিল করেছে? – এই ধরনের সাধারন কিছু প্রশ্ন যে কোনো সাংবাদিকের মনেই উদয় হওয়ার কথা।

যে খানে একজন অবৈধ নাগরিকের বহিষ্কারাদেশ হলে কানাডার মিডিয়ায় হৈ চৈ পড়ে যায় সেখানে শতাধিক ভারতীয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হলে মিডিয়ার চুপ থাকার কথা নয়। কানাডার মূলধারার কিংবা কোনো ধরনের মিডিয়ায়ই এই খবরটি নেই। এটি সন্দেহজনক।

টুইটারে এক ব্যক্তি টুইট করে এই খবরটি দিয়েছেন। তার টুইটের নীচে অনেকেই এটিকে ভূয়া খবর বলে উল্লেখ করেছেন। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, নতুন বছরের ছুটির আগে ‘ওয়ার্ক পারমিটের জন্য তারা ভীড় করেছেন, সেই জমায়েতের ছবি এবং ভিডিওকে ‘বহিষ্কারের’ ছবি হিসেবে চালিয়ে দেযা হয়েছে।

ভারতের এতোগুলো শিক্ষার্থীকে বের করে দেয়ার ঘটনা ঘটলে ভারত এতোক্ষণে প্রতিক্রিয়া দেখাতো।

খবরটিতে বলা হয়েছে ‘বহিস্কৃত’ শিক্ষার্থীরা সবাই ভারতের পাঞ্জাবের । এই তথ্যটার মধ্যে এক ধরনের উদ্দেশ্য টের পাওয়া যায়। কোনো ধরনের সেনসেশন তৈরির অসৎ উদ্দেশ্য থেকেও এই গুজব ছড়ানো হয়ে থাকতে পারে।

নিশ্চিত না হয়ে এই ধরনের সংবাদ/ তথ্য/ গুজব প্রচার করা সমীচীন বলে মনে করি না। টুইটারে সিবিএসএ’র সার্টিফাইড একাউন্টের টুইট অনুযায়ি ওরা আসলে অপেক্ষা করছিলো স্টাডি পারমিট প্রসেসিং এর জন্য। আমাদের সাংবাদিকরা তাদের বানিয়ে দিয়েছে ডিপোর্টি। এই আমাদের সাংবাদিকতা!!!

সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর, সম্পাদক – নতুন দেশ ডট কম

 

শেয়ার করুন