শ্রীমঙ্গল “গোপলা নদীসহ বন্ধ জলাশয় উন্মুক্ত করার দাবি” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ….

গেল বছরের ৩১ ডিসেম্বর অনলাইন নিউজ পোর্টাল  কুয়াকাটা নিউজ ও চলতি বছরের ২ জানুয়ারী ঢাকা থেকে প্রকাশিত  দৈনিক আমাদের কন্ঠ পত্রিকায় “মৎস্য ভান্ডার বলে খ্যাত হাইল হাওর “গোপলা নদীসহ বন্ধ জলাশয় উন্মুক্ত করার দাবীতে মানববন্ধন ও পথসভা শিরোনামা প্রকাশিত সংবাদে আমাদেরকে জড়িয়ে যেসব অভিযোগ উপস্থাপনা করা হয়েছে তা,মিথ্যা বানোয়াট। আমরা প্রকাশিত সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমাদের সম্মানহানি করার লক্ষ্যে এধরণের মিথ্যা বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে,
মৎস্য ভান্ডার বলে খ্যাত হাইল হাওর “গোপলা নদীসহ বন্ধ জলাশয় উন্মুক্ত করার দাবীতে মানববন্ধন ও পথসভা করেছে স্থানীয় মির্জাপুর এলাকাবাসী। হাওর বাঁছাও, নদী বাছাঁও। মরছে নদী, ধুকছে দেশ, নিঃশেষ হচ্ছে পরিবেশ। বিভিন্ন শ্লোগানে শ্লোগানে দলে দলে স্থানীয় মৎস্যজীবিরা জড়ো হতে থাকেন। মীর্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ননী গোপাল রায় এর সভাপতিত্বে ও স্থানীয় মৎস্যজীবি পথসভা ও মানববন্ধন করেছেন গেল বছরের ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ইং।”

প্রকৃত-পক্ষে গোপলা নদীসহ বন্ধ জলাশয় উন্মুক্ত রয়েছে। এখানে কেউই এই জলাশয় বন্ধ করেন না।   “ স্থানীয় আওয়ামীলীগ সভাপতি ননী গোপাল তার সাঙ্গ-পাঙ্গ নিয়ে তার অপকর্ম ঢাকতে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করে নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে ছাপানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। বিশেষ করে তার স্বার্থ হাছিলের জন্য এই প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। এটি ভিত্তিহীন বানোয়াট উদ্দেশ্য প্রনোদিত।”

সংবাদে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সর্বশেষ-গোপলা নদী কতিপয় ব্যক্তির মধ্যে উল্লেখ যোগ্য জসিম উদ্দিন, মোঃ শফিক মিয়া, মোঃ ইয়াছিন মিয়া, আয়মন আলী, মানিক মিয়া, সদাঘর মিয়া, কিতাব আলী, মোঃ শাবান মিয়া, মোঃ হালিম, দুলা মিয়া, মোঃ বুদ্ধি মিয়া, মোঃ আলাল মিয়া, গৌউছ মিয়া, মোঃ আজির উদ্দিন ও মাহমুদ মিয়া গংরা কর্তৃক সরকারের রাজস্ব ফাঁকি, লক্ষ লক্ষ টাকা আতœসাত ও তার প্রতিকার প্রসঙ্গে স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষে ননী গোপাল রায়, মোঃ ফয়ছল আহমদ ও এখলাছ মিয়া জনস্বার্থে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
মাছ শিকারের জন্য অবৈধ ভাবে বাঁশের কাঠি (পাটি বান), ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরার কারনে বৌলারদারা থেকে বড়ছড়া, চেংড়া বিলসহ আশ-পাশের খাল-বিল, নদী-নালায় অবৈধ ভাবে মাছ নিধন করছে।’

মূলত: আমরা সবাই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠন যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমরা সমাজের নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডের জড়িত। অভিযোগকারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি পদ পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে হাওরের মাছ লুট ও কারেন্ট জাল,বাঁশের কাঠি ব্যবহার করে মাছ শিকারসহ চাঁদাবাজি ও নানা অপকর্মে লিপ্ত রয়েছেন। তার এমন অপকর্মের প্রতিবাদ করি। আমরা কখনও বাঁশের কাঠি অথবা কারেন্ট জাল দিয়ে মৎস্য শিকারে জড়িত নয়,যা সম্পূর্ন মিথ্যা।’’

ননী গোপাল রায় সরকার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গত বছর মির্জাপুর ইউনিয়নের লামাপাড়া জামে মসজিদের মোতাল্লি মো.আজির উদ্দিন এর কাছে নগদ ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন । চাঁদা প্রদান না করায় পরবর্তীতে ননী গোপাল রায় তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে আরও ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এতে মসজিদের মোতাল্লি আজির উদ্দিন তার কথা মতো চাঁদা প্রদান না করলে তাকে উল্টো ভয়ভীতি দেখায়। পরবর্তী মোতাল্লি মৌলভীবাজার চীফ জুডিশিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ননী গোপালকে প্রদান আসামী করে তার বাহিনীর ৯ জনের নাম উল্লেখ করে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। যা মামলাটি আদালতে চলমান। ননী গোপালের এমন কর্মকান্ডে প্রতিবাদ করায় পরবর্তীতে ননী গোপাল আমাদেরকে “ হাওর বাচাঁও,নদী বাঁচাও গোপলানদীসহ বন্ধ জলাশয় উন্মুক্ত করার দাবিতে পথসভা ও মানববন্ধনে’ নাম উল্লেখ করে মাছ লুটের অভিযোগ উত্থাপন করেন, যা সম্পূর্ন মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত।

যারা সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন:তারা হলেন — জসিম উদ্দিন, মো. শফিক মিয়া, মো. ইয়াছিন মিয়া, আয়মন আলী, মানিক মিয়া, সদাঘর মিয়া, কিতাব আলী, মোঃ শাবান মিয়া, মো. হালিম, দুলা মিয়া, মো. বুদ্ধি মিয়া, মো. আলাল মিয়া, গৌউছ মিয়া, মো. আজির উদ্দিন ও মাহমুদ মিয়া।

শেয়ার করুন