নিজস্ব প্রতিবেদক, টরন্টোঃ
টরন্টোতে চিহ্নিত অর্থ পাচারকারী লুটেরাদের বিরুদ্ধে যখন আপাময় জনগণ দল-মত নির্বিশেষে মানববন্ধন, অন্দোলন ও প্রতিবাদ সমাবেশে শামিল হচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে সাংবাদিক নামের এক কলঙ্ক আন্দোলনের শুরু থেকেই প্রকাশ্যে লুটেরাদের পক্ষ অবলম্বন করে বিভিন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট খবর পরিবেশন করে চলেছে। শুধু তাই নয়, বৃহত্তর টরন্টোতে অবস্থানরত বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং পেশাভিত্তিক সংগঠনের পরীক্ষিত এবং সম্মানিত নেতৃবৃন্দসহ আন্দোলনকারীদের নিয়ে কটাক্ষ করতেও দ্বিধা করছে না। জালালাবাদবার্তা.কম অনলাইন পত্রিকার পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণে জানা গেছে যে, সে একজন সিজনাল সাংবাদিক। বিভিন্ন সময় তার বিভিন্ন বিতর্কিত কার্যকলাপের জন্য তার নিজের রাজনৈতিক দলও তাকে অনেকবার তিরস্কৃত করেছে। সেই তিরস্কারের মাত্রা এতোটাই বেশি ছিল যে, সে কানাডা ছেড়ে বাংলাদেশে চলে যায় এবং প্রায় বছারাধিক সময়ের জন্য বাংলাদেশে অবস্থান করে। অন্যদিকে বাংলাদেশে থাকাকালীন তার বিভিন্ন অনৈতিক ও বিতর্কিত কার্যকলাপের জন্য বিভিন্ন হুমকির সম্মুখিন হয় এবং একাধিক মামলায় জড়িয়ে পড়ায় আবার রাতের আধারে কানাডাতে পালিয়ে আসে।
যে মুহূর্তে টরন্টোবাসি দল মত ও পথ ভুলে গিয়ে লুটেরাদের বিরুদ্ধে এককাতারে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছে এবং লুটেরাদের সামাজিকভাবে বয়কট করেছে, সেই মুহূর্তে একজন তথাকথিত সাংবাদিকের এমন নগ্ন ও হলুদ সাংবাদিকতায় টরন্টোবাসি হতভম্ব এবং বিস্মিত। তদন্তে আরো ওঠে এসেছে, অনেকেই বলছে সে নাকি প্রচুর উপঢৌকন এর বিনিময়ে এমন হীন সাংবাদিকতায় এগিয়ে এসেছে। তার মতে আন্দোলনকারীরা সন্ত্রাসী তানভির জয় রানা, টাকা পাচারকারী পিকে হালদার বা অন্যান্য লুটেরাদের বিরুদ্ধে কোনও আন্দোলন করছে না। সবার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, এই রানা ইন্টার পোলের তাড়নায় বহু আগেই কানাডা ছেড়ে পালিয়েছে। আর পিকে হালদার কোথায় থাকে সেটা টরন্টোবাসি জানার চেষ্টা করেও তার টিকীটীও খুঁজে পাচ্ছে না। তবে কিছু লুটেরা টরন্টোবাসির সামনে দিয়ে দাম্ভিকতার সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের কালো টাকায় বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদিতে ডোনেশন ও স্পন্সরের মাধ্যমে সমাজপতি সাজা এবং বিভিন্ন কূট কৌশলে নিজেদের স্বার্থে বাংলাদেশী কমুনিটির সৌহার্দপূর্ণ অবস্থানকে কলুষিত করে চলছে। বাংলাদেশী কমুনিটির নিট এন্ড ক্লিন ইমেজের আপাময় জনগন চিহ্নিত এইসব লুটেরাসহ অন্যান্য সকল লুটেরাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে একতাবদ্ধ হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই সাংবাদিকের নিজের রাজনৈতিক দলের পরিচ্ছন্ন, সম্মানিত এবং সিনিয়র নেতৃবৃন্দও একাত্মতা প্রকাশ করা সহ এই আন্দোলনে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়েছেন।
আন্দোলনকারীরা দ্যর্থহিন ভাষায় আমাদের অনুসন্ধানকারিকে জানান যে, এই আন্দোলন কোনও একজন দুইজন ব্যক্তি বা পরিবারের বিরুদ্ধে নয়। বাংলাদেশের সকল ব্যাংক লুটেরাদের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন। এই আন্দোলন লুটেরা আজিজ, রানা বা হালদার প্রমুখকে বাদ দিয়ে যেমন নয়, তেমনি কোন বিশেষ একজনের বিরুদ্ধেও নয়। এই আন্দোলন সব ব্যাংক লুটেরাদের বিরুদ্ধে।
টরন্টোতে ৬টি সাপ্তাহিক পত্রিকা, ৩টি টিভি, এবং ৫টি অনলাইন পত্রিকার মধ্য থেকে একমাত্র এই সস্তা মানের হলুদ সাংবাদিক সাংবাদিকতার মূল উদ্দেশ্য থেকে সরে গিয়ে যে নিম্ন মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে তাতে সাংবাদিক সমাজের মাথা হেট হতে পারে বলে টরন্টোবাসি মনে করেন।
সাংবাদিক ভাইকে অনুরোধ করবো অনুগ্রহ করে চোর ও লুটেরাদেরদালালি বা চাটুকারিতা বাদ দিয়ে সততার সাথে সাংবাদিক পেশায় নিয়োজিত হয়ে ঘৃণা ও নিন্দার হাত থেকে নিজে বাঁচুন এবং আমাদেরকেও বাঁচান।