শ্রীমঙ্গলে এসএসসি পরীক্ষা চলছে- কে.জি স্কুল ও খন্ডকালিন শিক্ষক দিয়ে

সাইফ আহমদ, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) থেকে::
শ্রীমঙ্গলে শুরু থেকেই এসএসসি পরীক্ষায় অনিয়মের খবর পাওয়া যায়। ব্যাপক অনিয়ম মধ্যে দিয়ে চলছে শ্রীমঙ্গল উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও শ্রীমঙ্গল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এবারের এসএসসি পরীক্ষা। ব্যক্তিগত ক্ষমতা প্রয়োগ করে উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব কবিতা রানী দাস এসএসসি পরীক্ষা পরিচালনা করছেন।
সরকারের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই নিজের শিক্ষক নিয়োগ করে তাদরে দিয়ে এসএসসি পরীক্ষা নিচ্ছেন। এতে করে সরকারের শিক্ষা বিস্তারে আমুল পরিবর্তনের উপর প্রভাব পরছে।
খবর নিয়ে জানা যায়, কে.জি স্কুল ও স্কুলের খন্ডকালিন শিক্ষক যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১ থেকে দেড় বছর আগে তাদের দিয়ে এসএসসি পরীক্ষা পরিচালনা করছেন। এদের স্থানী কিংবা অস্থায়ী কোন নিয়োগপত্র নেই। অভিযোগ পাওয়া যায়, ঐ শিক্ষকগন যাদের প্রাইভেট পড়াতেন এবং হলে যারা পরিচিত তাদেরকে প্রশ্নের উত্তর বলে দেওয়ার কথাও জানা যায়। শ্রীমঙ্গল উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, আমি দ্বিতীয় তলার ১৩ নং কক্ষে পরীক্ষা দিচ্ছি, শুরু থেকেই স্কুলের শিক্ষকগণ হলে প্রবেশ করে উনারদের পরিচিত দেখে দেখে বলে দেন। ইংরেজী ১মপত্র পরীক্ষা শেষে সাদা পোষাক পরিহিত এক ছাত্রীকে পরীক্ষা কেমন হয়েছে জানতে চাইলে সে বলে, আমাদের পরীক্ষা ভাল হয়নি, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের পরীক্ষা ভাল হয়েছে। তাদের পরীক্ষা কেনও ভাল হয়েছে জানতে চাইলে ছাত্রী’টি বলে, অতুন স্যার আর টিটু স্যার আরো কে কে নাম জানি না উনারা তাদের বলে দেন।
 জানা যায়, উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে নন এমপিও ভূক্ত খন্ডকালিন শিক্ষকগণ পরীক্ষার হল পর্যবেক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এদের মধ্যে টিটু দাস অফিস পর্যবেক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। যেখানে একজন সরকারি এমপিও ভুক্ত সিনিয়র শিক্ষক দায়িত্ব পালন করার কথা। গুরুত্বপূর্ণ অফিস পর্যবেক্ষনের দায়িত্ব পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিট পর্বে প্রশ্ন সেটিং করে হলে হলে পৌছে দেওয়া। এই দায়িত্ব পালন করছেন একজন নন এমপিও ভুক্ত খন্ডকালিন শিক্ষক টিটু দাস। এছাড়াও প্রায় ২ বছর আগে পত্রিকায় নিয়োগ প্রকাশ না করে কোন প্রকার পরীক্ষা না নিয়ে কজন শিক্ষককে স্কুলে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং উনাদের দিয়ে এসএসসি পরীক্ষার হল পর্যবেক্ষন করানো হয়। এদের মধ্যে পূজা দাস গুপ্ত, পৃতুলা দা, চন্দন তাতী, তাপসী দাস ও ঝলক দত্ত। যাহা নিয়ম বহিরভূত কাজ এবং ২০১৯ সনেও অনেক অনিয়মের খবর জানা যায়। এই অনিয়মের কারণে স্কুলের সিনিয়র শিক্ষকগণ এসএসসি পরীক্ষার হল পর্যবেক্ষনের দায়িত্ব পালন করতে চান না। খবর নিয়ে জানা যায়, পরীক্ষা শুরুর দিন থেকেই শ্রীমঙ্গল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে কে.জি স্কুলের এক শিক্ষক কনক ভট্টাচ্যার্য হল পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। যা একেবারই অন্যায় এবং গরহিত কাজ। এই ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব কবিতা রানী দাস’কে ফোন করলে, এই বিষয়ে জানতে চাইলে, ফোন কেটে তা বন্ধ করে রাখেন। সিলেট শিক্ষা বোর্ডের কন্টোলার কবির আহমদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি একটা অনুষ্টানে আছি, পরে কথা বলছি।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান জানান, আগে অনেক সমস্যা ছিল, এখন সব সমস্যার সমাধান করেছি। এসব হলে এটা অবশ্যই ঠিক নয়, কেন্দ্র সচিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। আমি এখনই খবর নিবো।
শেয়ার করুন