গোলাম মোস্তফা, টরন্টো, কানাডাঃ
বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে দুধরনের যৌনবাজার রয়েছে।
এক. রাজবাড়ি জেলার দৌলতদিয়া স্টিমার ঘাটের মত যৌন পল্লী
দুই. হোটেল ওয়েস্টিনের মত পাঁচতারা হোটেল ও অভিজাত ফ্লাটবাড়িসমুহ।
প্রথমটিতে যৌনতার খরিদদার হল অধিকাংশ ট্রাক চালক। যারা দুরদুরান্তে ট্রাক চালায়। পরিবার থেকে মাসের পর মাস দুরে থাকে।
আর দ্বিতীয়টির কাস্টমার হলো কিছু রাষ্ট্র চালক। মানে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, উচ্চপদস্থ আমলা, মাফিয়া এরা।
ট্রাক ও দেশ চালাতে চালাতে তেনারা যখন বোরড হয়ে যান তখন একটু চাঙ্গা হওয়ার নেশায় দৌলতদিয়ার মত যৌনপল্লীতে অথবা ওয়েস্টিনের মত পাঁচতারা হেটেলে যান ফুর্তি করতে।
যৌনপল্লীগুলোতে নানাভাবে দরিদ্র ও অসহায় মেয়েদেরকে ফন্দিঠিকির করে এনে জোর করে বিক্রি করে দেয়ার নানা গল্প শোনা যায়। পত্রপত্রিকায় বা মুভিতে। সেখানে দেখা যায়, পাওয়ারফুল নারীরা এর তত্বাবধান করেন। কিন্তু তার পিছনে থাকে শক্তিশালী একটি গোষ্ঠি। যার নেতৃত্বে থাকেন পুরুষরা।
হোটেল ওয়েস্টিনে পাপিয়ার নেতৃত্বে যা হচ্ছিল তা তো আরো ভয়ংকর। হাতে বেতের লাঠি নিয়ে বসে আছে- এরকম একটি ছবি ফেসবুকে ঘুরপাক খাচ্ছে। মানে হল অসহায় মেয়েদের বেতের লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছেন বা ভয় দেখাচ্ছেন যাতে নিদিষ্ট ক্লাইন্টকে যৌনসেবা দেয়।
এরকম সেবা দিয়ে উনি বা ওনার সাথে যারা আছেন তারা হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা বা ব্যবসা। শোনা যায়, এখন নাকি শুধু টাকায় ঘুষ দিলেই কাজ হয়না। সাথে অল্প বয়সী এক বা একাধিক সুন্দরী নারীকেও দিতে হয়। আর এর ব্যবস্থাপনায় থাকেন পাপিয়ার মত কিছু নারী। এ রকম চলছে অহরহ। খুব যে গোপনে তাও নয়।
এ ধরনের কেসগুলো সম্মন্ধে পুলিশের কর্তব্যক্তিরা ওয়াকিবহাল থাকেন। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেননা। কারন তারা নিজেরা এর উচ্ছিষ্ট ভোগী। আর রাজনৈতিক নেতারা, আমলা ব্যবসায়ীরা তো এগুলো ব্যবহার করেন। তবে যখন তা নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায় তখনই প্রধানমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নিতে হয়। নইলে নিজের দলের লোককে এভাবে ধরার মানেই হয়না।
আর আমাদের মত কিছু কচুরীপানা খাওয়া পাবলিক পত্রপত্রিকায় বা সোস্যাল মিডিয়ায় কয়েকদিন ছি ছি করি। তারপর অন্য ইস্যু আসে। এটা চাপা পড়ে যায়। পাপিয়ারা আবারও তাদের পুরাতন ব্যবসা নতুন করে নতুন কাউকে দিয়ে গুছিয়ে ফেলে।
গাছের ডালে বসে কাক ঠিকই আবার পায়খানা করতে থাকে। গরীর ছাতুওয়ালা পাবলিক তার খাবারের থালায় কাকের গু পেয়ে বলে ওঠে “আল্লার কী লিলা, বসলাম ছাতু নিয়া গাছ তলা, গুড়ও একটু দিলা।”