মৌলভীবাজার প্রতিনিধি.
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীন দ্বন্দের জের ধরে আদমপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি তুহিন পারভেজ তুষার এর উপর সন্ত্রাসী হামলা করা হয়েছে। এতে গুরুতর আহতবস্থায় তুষারকে সিলেট রাগিব রারেয়া মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলায় তার দুই পা ও হাতের হাড়ে প্রচন্ড আঘাত লেগেছে। এ হামলার পিছনে আদমপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি/সম্পাদক জড়িত বলে তুষারের পরিবার অভিযোগ করেছেন।
ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় আদমপুর বাজারে ঘটেছে।
জানা যায়, মাস তিনেক আগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কমলগঞ্জ উপজেলা আদমপুর শাখা কমিটি ঘোষনা করা হয়। সেই কমিটির অন্যতম সভাপতি তুহিন পারভেজ তুষার। তার পর হতে তুষারের সাথে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া আহমেদ ও সম্পাদক মামুনের সাথে দ্বন্দ দেখা দেয়। দ্বন্দের কারনে তাদের সাথে অশোভন আচরণ ও শৃংঙ্গলা ভঙ্গের অভিযোগে গত ২৬ তারিখ তাকে দল থেকে বহিস্কার করলে উপজেলা নেতৃবৃন্দ বিষয়টি মীমাংসা করার একদিন পর বৃহস্পতিবার ২৭ রাত ৯টায় আদমপুর বাজারে একা পেয়ে ছাত্রলীগ নেতা তুহিন পারভেজ তুষার উপর সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় তুষারের দুই পা ও হাতে মারাত্মক আাঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হয়। গুরুত্ব আহত অবস্থায় স্থানীয় রা তাকে প্রথমে কমলগঞ্জ ৫০ শষ্যা হাসপাতালে নিলে সেখান হতে সিলেট রাগিব রাবেয়া মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই হামলার পেছনে আদমপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি জাকারিয়া ও সম্পাদক মামুন জড়িত বলে তুষারের পরিবার ও স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতারা অভিযোগ করেছেন।
তুষারের ছোট ভাই রাজ্জাক পারভেজ বলেন, আমার বড় ভাই সাথে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের দ্বন্দ চলছিল। তারাই আমার ভাইয়ের হামলার সাথে জড়িত।
আদমপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি জাকারিয়া আহমদ তুষারের হামলার সাথে জড়িত নন বলে অস্বীকার করেন। তিনি হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন সে বিএনপির লোকের সাথে চলাফেরা করে। কারা মেরেছে তা তিনি বলতে পারেন না।
কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাহাত ইমতিয়াজ রিপুল বলেন, ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। ছাত্রলীগের কেউ হামলার সাথে জড়িত থাকলে সাংগঠনিক বাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমান বলেন, আমি কোন অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।