ডেস্ক রিপোর্টঃ
স্বাধীনতার মাসের প্রথম দিন থেকে টরন্টোতে বাংলাদেশী অভিবাসীদের প্রথম ক্লাব ‘সিলেট ডিভিশনাল ক্লাব’ এর যাত্রা শুরু হয় শহরের বাংলা টাউন খ্যাত ভিক্টোরিয়া পার্ক এবং ডেনফোর্থের ২৯৮৬ ডেনফোর্থ এভিনিউতে।
১ মার্চ রবিবার নবগঠিত ক্লাবে অত্যন্ত উৎসবমূখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় ক্লাবের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান। অন্টারিও প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্টের মাননীয় এমপিপি ডলি বেগম কেক কাটার মাধ্যমে ক্লাবটির শুভ উদ্ভোধন করেন।
রাত ৮টার সময় শুরু হওয়া উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশী কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সর্বজনাব আখলাক হোসেন, আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম আজাদ, নজরুল ইসলাম মিন্টো, আসাদ উদ্দিন, শংকর দে, শামছুদ দোহা, শামছুল আলম, কফিল উদ্দিন পারভেজ, ডাঃ মাহমুদুল হক, ছাদ চৌধুরী, জাকিয়া আলম এবং আব্দুল মানিক। বক্তারা এই ক্লাবকে শুধুমাত্র একটি ক্লাবের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সিনিয়র সিটিজেন, মহিলা এবং নতুন প্রজন্মের সম্পৃকতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক লায়েকুল হক চৌধুরী অতিথিবৃন্দদের জানান, নামে সিলেট ডিভিশনাল ক্লাব হলেও এই ক্লাবের সদস্য হতে পারবেন টরন্টোর সকল বাংলাদেশী। ক্লাব কর্মকর্তাদের মতে, শুধু সিলেট বিভাগবাসী নয় এই ক্লাবটি সকল বাংলাদেশীর। সারাদিনের ক্লান্তি শেষে একটু বিনোদনের জন্য ক্লাবটিতে রাখা হয়েছে টেলিভিশন, ক্যারাম বোর্ড, দাবা, ডার্ট বোর্ড, প্লেইং কার্ড। থাকবে টরন্টোর সকল বাংলা পত্রিকা, মিনি লাইব্রেরী এবং কম্পিউটারে ব্রাউজিং করার সুবিধা। তাছাড়া গ্রীষ্মকালে আয়োজন করা হবে ব্যাটমিন্টন, সকার খেলা এবং ক্রিকেট খেলা সহ বিভিন্ন প্রতিযোগীতা। বাচ্চাদের জন্য থাকবে চিত্রাংকন প্রতিযোগীতাসহ বিভিন্ন আয়োজন। সিনিয়রদের জন্য থাকবে বই, পত্রিকা পড়াসহ আড্ডার ব্যবস্থা।
উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শক্তি দেব, খসরুজ্জামান চৌধুরী দুলু, টুনু মিয়া, এবাদ চৌধুরী, কামরুল হাসান শাহান, জহিরুল ইসলাম, মাসুক চৌধুরী, আব্দুল মুমিত, সাঈদ চৌধুরী দিপু, ময়নুর রহমান আজিজ, সাইফুল মিয়া, আব্দুল কাদের, শাব্বির চৌধুরী লিটন, মাসুক মিয়া, প্রফেসার আতাউর রহমান, রুহুল চৌধুরী, মোঃ আব্দুর রহিম দাদুল, টিপু ভূইয়া, আবু তাহের, বিবেক সেন রাজিব, ময়নূল ইসলাম, বাহার উদ্দিন, বাবেল চৌধুরী, সিরাজ উদ্দিন, মাহবুব ইসলাম, হেলাল উদ্দিন, মাহবুব চৌধুরী, সাইদুন ফয়ছল সহ আরও অনেকে।
রাতের খাবার কাচ্চি বিরিয়ানী ও কেক খাওয়ার মাধ্যমে নবগঠিত এই সিলেট ক্লাবের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।