নেই বিদ্যুৎ, নেই বাথরুম, বেডে নোংরা কভার, যে বালিশ দেওয়া হয়েছে সেটা মাথা রাখার মতো নয়, ডাক্তার কিংবা সেবিকা কেউ নেই

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা.
প্রাতিষ্ঠানিক কোরেনন্টিনের নামে সুস্থ মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে সিলেটের স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) যুক্তরাজ্য থেকে ফেরেন সিলেট বিভাগের সবচে’ প্রবীণ সাংবাদিক। সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরে তাঁর শরীরে ৯৯ ডিগ্রি জ্বর পাওয়া যায়। তাকে বলা হয় প্রাতিষ্ঠানিক কোরেনন্টিনে থাকতে হবে। তিনি রাজি হন। নেওয়া হয় সিলেট শহীদ ডা. শামসুদ্দীন আহমেদ জেনারেল হাসপাতাল।
তিনি মোবাইল ফোনে এই প্রতিবেদককে জানান, হাসপাতালের যে কক্ষে তাঁকে নিয়ে রাখা হয় সেটি মানুষ বসবাসের সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত। নেই বিদ্যুৎ, নেই বাথরুম, বেডে নোংরা কভার, যে বালিশ দেওয়া হয়েছে সেটা মাথা রাখার মতো নয়, ডাক্তার কিংবা সেবিকা কেউ নেই। এই অবস্থায় সন্ধ্যা পার হবার পর তিনি যখন কর্মরত গার্ডকে ডেকে হাসপাতালের কাউকে আনতে বললেন; গার্ড একজনকে ডেকে আনল। তার কক্ষ পরিবর্তন করে দেওয়া হলো অন্য আরেকটি কক্ষে। সে কক্ষে বিদ্যুৎ আছে; কিন্তু বাথরুমে বেসিন নোংরা, বালতি ব্যবহার উপযোগী নয়, মশা ভন ভন করছে। মশা থেকে বাঁচতে তিনি পুরো রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন। রাতে কোনো চিকিৎসক কিংবা নার্স- কেউ তার খবর নেয়নি।
আজ শুক্রবার (২৭ মার্চ) সকাল ৭টায় মোবাইল ফোনে এই প্রতিবেদককে জানালেন মুখ ধোয়ার মতো পানি নেই। গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুর থেকে আজ (শুক্রবার) এই ভোর পর্যন্ত তাকে কোনো খাবার সরবরাহ করা হয়নি। তিনি জানান, এখন তো আমার কোনো জ্বর নেই। আমাকে এখানে রেখে তারা কি করবে, সেটাও কিছু বলছে না। আমি একজন সুস্থ মানুষ, তাদের এই পরিবেশ আমাকে অসুস্থ করে দিচ্ছে। হাসপাতালের নামে কয়েদখানায় রেখে তারা তো আমাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তারা কি আমাকে মারার জন্য এখানে এনেছে? আমি তো বাসায় থেকেই ‘হোম কোয়ারেন্টিন’ করতে পারতাম।
শেয়ার করুন