৫টি চা বাগানের করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ স্বেচ্ছায় ছুটি ভোগ করছেন চা শ্রমিকরা

বিশেষ প্রতিনিধি.
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগর প্রধান বাগানসহ ৫টি চা বাগানের করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ স্বেচ্ছায় ছুটি ভোগ করছেন চা শ্রমিকরা।
শনিবার সকাল থেকে উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের মৃর্তিংগা চা বাগানের স্বেচ্ছায় ছুটি ভোগ করছেন তারা।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলই ভ্যালির (অঞ্চলের) কার্যকরি কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা জানান, মৃর্তিংগা চা বাগানের শ্রমিক কাজে যোগ না দিয়ে সাধারণ ছুটির জন্য ব্যবস্থাপকের কাছে জোর দাবি জানায়। এ দাবির প্রেক্ষিতে মৃতিংগা চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সমর্থন জানালে ব্যবস্থাপক ছুটি দিতে বাধ্য হয়েছেন।
মৃর্তিংগা চা বাগানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক প্রদীপ বর্মন জানান, চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদ ও শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে চা বাগানে ছুটির কোন নির্দেশনা আসেনি। তাই ছুটি দেওয়া হয়নি। তবে এ চা বাগানের চা শ্রমিকদেও দাবির প্রেক্ষিতে তাদের অর্জিত ছুটি থেকে এ ছুটি দেওয়া হয়।
কমলগঞ্জে সরকারি মালিকানাধীণ ন্যাশনাল টি কোম্পানী (এনটিসির) ৫টি চা বাগান রয়েছে। এসব চা বাগানে ছুটির দাবিতে শুক্রবার থেকে চা শ্রমিক ও চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির মধ্যে আলোচনা চলছে।
চা শ্রমিক ইউনিয়ন মনু-ধলই ভ্যালির কার্যকরি কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা বলেন, আশা করা যাচ্ছে চা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে শীগ্ররই সরকারিভাবে ছুটি দানের নির্দেশনা আসবে।
পাত্রখোলার ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশীয় চা সংসদ ও শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে চা বাগানের ছুটির নির্দেশনা আসেনি। তাই চা বাগানে ছুটি দেওয়া হয়নি। ছুটির নির্দেশনা আসলে অবশ্যই ছুটি দেওয়া হবে।
শেয়ার করুন