চা শিল্প চালু রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • মৌলভীবাজার প্রতিনিধি.
    সিলেটের চা বাগানগুলো চালু রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন,ছুটি ঘোষণা করলেও উৎপাদনমূখী শিল্পগুলো বা রপ্তানিমূখী নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সেগুলো অব্যাহত থাকে। ইন্ডাষ্ট্রির ব্যাপারে বলা আছে,সবাই আলাপ আলোচনা করে তারা চালু রাখতে পারে। তবে চা শ্রমিকরা চা পাতা যখন উত্তোলণ করে তখন সবাই বিক্ষিপ্তভাবে আলাদা আলাদা দূরে দূরে থাকতে পারে। কাজেই যেখানে আমার মনে হয় অসুবিধা হওয়ার কথা না। যেখানেই চা শ্রমিকরা প্রকৃতির সাথে থেকে কাজ করেন বিধায় সেখানে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার সুযোগ থাকে না,কাজেই চা বাগানগুলো চালু রাখা দরকার। শুধু চা পাতা উত্তোলণ করে যখন জমা করবে, তখন লাইনে দাঁড় করিয়ে বা সুরক্ষিত দূরত্ব বজায় রেখে জমা রাখার ব্যবস্থা করে রাখলে আমার মনে হয় আর কোন অসুবিধা হবে না। এখন যখন সংক্রমিত কেউ নাই সেখানে ভয় পাবার কিছুই নাই।
    (৩১মার্চ)মঙ্গলবার দুপুর করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশব্যাপী চলমান কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে গণভবন প্রান্ত হতে ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি)র সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সিলেটের জেলা প্রশাসকের উদ্দেশ্য চা বাগান চালু রাখার পক্ষে দেন প্রধান মন্ত্রী ।
    সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে সিলেটের বেশ কিছু চা বাগানের শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। করোনা পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করতে গিয়ে সিলেটের চা বাগানগুলোর উৎপাদন বিষয় তুলে ধরেছি। চা শ্রমিকরা চা পাতা জমা দেওয়ার সময় যেন তিন ফুট দূরত্ব মেনে চললে হয়।
    প্রসঙ্গত: বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী দেশে ১৬৭টি চা বাগান রয়েছে। আর চা শিল্পের দেড় থেকে দুই লক্ষাধিক চা শ্রমিক সরাসরি জড়িত। তারমধ্যে মৌলভীবাজার জেলায় ৯৩টি চা বাগান রয়েছে।
    এদিকে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মাথিউরা চা বাগান ও শ্রীমঙ্গল ফিনলে টি কোম্পানির রাজঘাট চা বাগানে ছুটি ঘোষণার দাবীতে কর্মবিরতি করেছে চা শ্রমিকরা।
    ৩১ মার্চ মাথিউরা চা বাগানে আধাবেলা কর্মকিরতি পালন করে। এর আগেরদিন শ্রীমঙ্গল উপজেলার রাজঘাট চা বাগানের ফ্যাক্টরীর সামনে কর্মবিরতি পালন করে।
    রাজঘাট ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও চা শ্রমিক নেতা সুমন কুমার তাঁতী ও রাজঘাট চা বাগানের নারী চা শ্রমিক সুফলা তাঁতী বলেন, আমাদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা কিছুই পাইনি। সাবান, মাস্ক ইত্যাদি আমাদের প্রয়োজন। বাগান থেকে আমাদের তেমন কোন সুরক্ষার ব্যবস্থা দেয়া হয়নি। সবাই বলছে বার বার হাত ধৌত করতে, মাস্ক ব্যবহার করতে। আমরা চা শ্রমিকরা এগুলো কিভাবে কিনবো। যদি করোনা ভাইরাস চা বাগানে ছড়ায় তাহলে ভয়ংকর রূপ ধারণ করবে। এখনই সময় চা বাগানের সবাইকে ঘর থেকে বের হতে না দেয়া।
  • বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের রাজাঘাট বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি পলাশ কুমার তাঁতী বলেন, আমরা বাগান কর্তৃপক্ষকে বার বার বলার পরও ছুটি ও সুরক্ষা সরঞ্জাম কিছুই পাচ্ছি না।
শেয়ার করুন