ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছানোর নির্দেশ -কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না: আব্দুস শহীদ এমপি

  • মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
  • করোনা ভাইরাসের সংক্রামন প্রতিরোধে ঘর বন্দী হয়ে আছেন মৌলভীবাজার জেলার কর্মহীন মানুষরা। তাই ঘরে ঘরে সরকারের বরাদ্ধকৃত খাদ্য পৌঁছে দিতে জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দিয়েছেন সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কৃত স্থায়ী কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ। একইসাথে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না বলে কঠোর হুশিয়ারি দেন তিনি।
    শুক্রবার সকালে শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়ন ও কমলগঞ্জের শমসেরনগর, ইসলামপুর ইউনিয়ন ও মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা চা বাগানে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন। আব্দুস শহীদ এমপির ব্যক্তিগত উদ্যোগে এক হাজার কর্মহীন মানুষদের মাঝে চাল, ডাল নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার ও পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে নগদ দেড় লক্ষাধিক টাকা বিতরণ করেন।
    বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শ্রীমঙ্গলের কালিঘাট, মির্জাপুর ও কালাপুর এবং কমলগঞ্জের রহিমপুর, কামুদপুর, আলীনগড় ইউনিয়ন ও কমলগঞ্জ পৌর এলাকায় ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। কর্মহীন মানুষদের ঘরে ঘরে গিয়ে এই খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন। এর আগে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পিপিই প্রদান করেন।
    এতে উপস্থিত ছিলেন- সহকারি পুলিশ সুপার মো. আশরাফুজ্জামান, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক, শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুছ ছালেক, কমলগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম ইদ্রিস আলীসহ ইউপি চেয়ারম্যান ও সাংবাদিকরা।
    উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি বলেন, করোনা ভাইরাস সারা বিশ্বসহ আমাদের দেশের উপর যে আঘাত এনেছে তার থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনারা সরকারের নির্দেশনা মেনে ঘরে থাকুন, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন। সরকারের পক্ষ থেকে গবীর দরিদ্র মানুষের জন্য পর্যায় ক্রমে খাদ্যসামগ্রীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমরা আপনাদের বাড়ী বাড়ী এসে খাবার পৌছে দেব। সরকারের পাশাপশি আমরা নিজ উদ্দ্যোগে ঘরে ঘরে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌছে দিচ্ছি। আমি জনপ্রতিনিনিধিদের বলছি আপনারে মানুষজনকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে না এনে, ঘরে ঘরে খাবার পৌছে দিন। আর খাদ্য বিতরণে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না। তিনি এসব গবীর দরিদ্র মানুষের সহায়তা করার জন্য এলাকার বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহব্বান জানান।
    জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো আশরাফ আলী জানান, গত ২৫ মার্চ থেকে এপর্যন্ত জেলার ৭টি উপজেলা ও ৫টি পৌরসভায় ২১২ মেট্রিক টন চাল ও ১২লক্ষ টাকার খাদ্য সামগ্রি বিতরণ করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৬৬৩ মেট্রিকটন চাল ও ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা মজুদ রয়েছে।
    তিনি আরো জানিয়েছেন, আজ পর্যন্ত জেলার ২১ হাজার ২শত পরিবারকে ১০ কেজি করে ১০দিনের খাদ্যসামগ্রী দেয়া হয়েছে। এ বরাদ্দের আওতায় বলে জানান তিনি। তবে সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি বেসরকারী ব্যক্তি পর্যায়ে সহায়তার হাত বাড়ানোর জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন বিত্তশালীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
শেয়ার করুন