কমলগঞ্জে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি.
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আওয়ামীলীগের সদস্য আলতা মিয়া(৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বত্তরা।
নিহত আলতা মিয়া স্থানীয় রহিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ছিলেন বলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জুনেল আহমেদ তরফদার জানান।
রবিবার (৫ এপ্রিল) রাতে কমলগঞ্জের মির্তিঙ্গা খেয়াঘাট খেলার মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবার জানান, থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতে মির্তিঙ্গা চা বাগানে একটি দোকানে টিভি দেখে পায়ে হেটে পার্শ্ববর্তী রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন আওয়ামী লীগ সদস্য আলতা মিয়া। রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে মির্তিঙ্গা খেয়াঘাট খেলার মাঠের পাশের নির্জন স্থানে পৌঁছালে দূর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা দেখে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান তার অবস্থা অবনতি হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি পর রাত সাড়ে ১১টায় তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। লাশ ময়না তদন্তের পর দাফন সম্পন্ন হবে। খবর পেয়ে সকালের দিকে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে।
নিহত আলতা মিয়ার ভাগ্নে সাংবাদকর্মী আফরোজ আহমেদ বলেন, তাকে এলোপাতারিভাবে কুপিয়েছে দূর্বত্তরা। তিনি দাবী করেন, পুর্ব শক্রতার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার ধারণা।
তবে এলাকাবাসী ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের ধারনা, আলতা মিয়া আওয়ামীলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। হয়তো বা প্রতিপক্ষরা এটা মেনে নিতে পারেনি। পুর্বশক্রতার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ বদরুল বলেন, আলতা মিয়ার আওয়ামীলীগের সক্রিয় একজন কর্মী ছিলেন। হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছি। সিলেটে ময়না তদন্ত শেষে লাশ দাফন করা হবে। তবে আমরা তদন্ত চলছে। খুব শিগগিরই ঘাতককে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।তবে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি।’