- বিশেষ প্রতিবেদক
- মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নে সরকারি চাল চুরির অভিযোগে আশিক মিয়াকে গ্রেপ্তার এবং ইসলাম মিয়া নামের অপর এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
- মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) গভীর রাতে আশিক-কে গ্রেপ্তার এবং বুধবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ভৈরববাজার এলাকা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আটককৃত দুজনেই কালাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
- আটককৃত আশিক ওই ইউনিয়নের ভৈরববাজার সংলগ্ন হুদারপাহাড় গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই এলাকার দাদন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।
- স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানায়, স্থানীয় আশিকের বাড়িতে ১০ টাকা কেজি সরকারি চাল মজুদ করে রাখা ছিল। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার সময় আশিকের বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
- বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, আশিককে আটকের পর তাকে উদ্ধার এবং চালের বস্তা চুরি সংক্রান্ত বিষয়টি ধামাচাপা দেবার চেষ্টা চালায় একটি মহল। পরে একাংশের গণমাধ্যমকর্মীরা বিষয়টি জেনে গেলে তাদের এমন উদ্দেশ্য ভেস্তে যায়।
- এদিকে, তবে পুলিশের উপস্থিতি ও পুলিশের অভিযান হবে এমন তথ্য আগেভাগেই জানতে পেরে আশিকের সংশ্লিষ্টরা প্রায় দু ডজন চালের বস্তা সরিয়ে নেয়। আশিককে আটক করে থানায় নেয়ার পরপর চালগুলো সরিয়ে ফেলে। পরবর্তীতে ৫ বস্তা ১০ টাকার মূল্যের সরকারি চা পুলিশ উদ্ধার করতে পেয়েছে বলে শ্রীমঙ্গল পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
- কালাপুরের এলাকাবাসী তুহিন চৌধুরী ও মো. জাকারিয়া বলেন, ঘটনাটি শুনে আমিও গিয়েছিলাম ভৈরববাজার। আসলে কেউ মুখ খুলতে চাচ্ছে না। তারপরও যা জানতে পারলাম তা হলো, সিএনজি অটোরিক্সা করে ১০ টাকা দামের সরকারি ত্রাণের বাজারে নিয়ে যাবার সময় সিএনজি থেকে পড়ে যায়। তখন উৎসুক লোকজন সিএনজি চালককে জিজ্ঞেস করে জানতে পারে এগুলো কালাপুরের আশিক মিয়া এবং ইসলাম মিয়ার চাল। তারা আরও জানান,এই দুইজনেই চেয়ারম্যানের ঘনিষ্টভাজন।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুছ ছালেক বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের চাল অবৈধভাবে মজুদ রাখার অপরাধে ইতোমধ্যে আশিককে গ্রেপ্তার এবং ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এ সময় ৫ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করা হয়। - আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান শ্রীমঙ্গল ওসি মো. আব্দুছ ছালেক।
শেয়ার করুন